জনতার আলো, মোঃ রিপন হাওলাদার { ক্রাইম চীফ }: অর্থাভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত গার্মেন্টস শ্রমিক রেবার চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার স্বামী। মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মির্জাচর বেপারী কান্দী গ্রামের হত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে রেবা।
ছোট বেলা থেকেই পারিবারিক চাহিদা যোগাতে পাড়ি জমান ঢাকা শহরে বিভিন্ন কাজের সন্ধান করে, কোন কাজ সহজে না মেলায় একটি গার্মেন্টসে হেলপার পদে যোগদান করেন। এভাবে কেটে যায় বেশ কয়েক বছর।
কাজ করতে করতে হয়ে যান প্লেন মেশিন অপারেটর ফিরে আসে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা। এভাবে বেশ কয়েকটি বছর অতিবাহিত হওয়ার পর একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোস্তফার সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
পরিবারের সচ্ছলতা বজায় রাখতে বাড়তি আয়ের আশায় দিনরাত অধিক পরিশ্রম করতে থাকেন। কঠোর পরিশ্রমের ফলে শরীরের প্রতি তেমন কোন যত্ন নিতে না পারায় কখন যে দেহের সবচেয়ে মূল্যবান অঙ্গ বিকল হতে পড়েছে তা সে অনুভবই করতে পারেনি।
কাজ করা অবস্থায় ১০-১-২০১৫ ইং তারিখ হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা আনূভব করে, পরে তার স্বামী একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শরীরের প্রাথমিক লক্ষণ দেখে কয়েকটি জরুরী টেস্টের জন্য পরামর্শ দেন।
পরামর্শ পত্র অনুযায়ী ১৫-১-২০১৫ ইং তারিখ সেনাবাহিনীদের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষাকাজ সম্পন্ন করেন। পরীক্ষা রিপোর্টে দেখা যায় রেবার শরীরের দুটো কিডনীই নষ্ট হয়ে গেছে।
যদি রেবাকে পূর্বের মত শাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে দুটো কিডনীই প্রতিস্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু দুটো কিডনীই প্রতিস্থাপন করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল যাহা তার অসহায় পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়।
দীর্ঘ তিন বছর যাবৎ বিভিন্ন কিডনি হাসপাতাল থেকে শুরু করে সরকারী কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে কোন প্রকার শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় দিন দিন মৃত্যুর প্রহর গুনছে গত তিন মাস যাবৎ চিকিৎসা হীন অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।
প্রতি সপ্তাহে একবার করে ডায়ালাসিস করতে হয় খরজ লাগে প্রাই ৪০০০/৫০০০ টাকা। সহধর্মিণীর চিকিৎসা তদারকি করতে গিয়ে কর্মস্থলে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকার অপরাধে রেবার স্বামীর চাকুরিটি ও চলে যায়।
স্বামী কর্মহীন হয়ে পড়ায় চিকিৎসার টাকা যোগাড় করতে পারছেনা তার স্বামী। যার ফলে ডায়ালাসিস খরচ ও দৈনিক খাদ্যে অভাব সহ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বর্তমানে এক আত্মীয়ের দয়ায় নিউ সি ব্লকের লাইন-৭ বাসা-৩৬ মিরপুর-১ এ মৃত্যুর প্রহর গুনছে।তবে পোশাক শ্রমিক রেবা বাচতে চায় তার ছোট ছেলে চতুর্থ শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া রিফাল ইসলামের জন্য।
রেবার স্বামী ও আত্মীয় স্বজনরা সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষদের কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তাদের একটু সহযোগীতাই পারে রেবার জীবন বাঁচাতে। তার বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে ০১৭৭৮৮৮৭০০১ মোবাইল নম্বরে। তাকে সহযোগিতা পাঠানো যাবে বিকাশ ও ইসলামী ব্যাংক মিরপুর শাখা চলতি হিসাব নং- ৪৪৪৯২ নম্বরে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের ধনবান ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্য কামনা করছে রেবা।
খবরটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে বেশি বেশি শেয়ার করুণ।
জনতার আলো/শনিবার, ২১ জুলাই ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.