জনতার আলো, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের বৃহত্তম শেচ প্রকল্প ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় ঈদের দিন হইতে নানা স্থান হতে দর্শনার্থীর অটো,মটর সাইকেল,বাস, মাইক্রো নিয়ে স্বপরিবারে বেড়াতে আসেন। ঈদুল আযহা উপলক্ষে এখানে ছোট খাটো মেলার মত দোকান পাট বসে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৫০ গজ দুরে জমজমাট জুয়ার আসর বসেছে। তিস্তা ব্যারেজের ৪২ টি গেটের মধ্যে ২টি ডিমলা থানার অধীনে পড়ে, অপর অংশ হাতিবান্দা আওতাধীন পড়ে দর্শনার্থীদের ভির ও মেলা প্রসঙ্গে দুই থানার কোন পুলিশ দেখা যায় না। ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরতে আসা আনন্দ আরোহীদের কাছ থেকে জোর করে টোল আদায় করছে দোয়ানী আনছার ক্যাম্প তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডে আওতায় আনছার সদস্যরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,লালমনির হাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার আনছার ক্যাম্পটি পরিচালিত কিন্তু এটি নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার দোয়ানী আনছার ক্যাম্প তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডে আওতায়, এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করা অনেক পিকআপ,নছিম, অটো চালকে সাথে কথা হলে জানা যায় প্রতিটি বাস থেকে ১০০ টাকা, ছোট পিকাআপ থেকে ৫০ টাকা, অটো ২০ টাকা, নছিমন থেকে ২০ টাকা, মটর সাইকের থেকে ১০ টাকা ও প্রতিটি ছোট বড় দোকান থেকে ১০ হইতে ৫০ টাকা পর্যন্ত জোর পূর্বক আদায় করে এবং টাকা আদায় করার সময় আনছার মিলন প্রতিটি দোকান থেকে চাঁদা আদায় করায় দেখা যায়। এ বিষয়ে আনছার ক্যাম্পের ইনর্চাজ মোঃ রবিউল ইসলাম, জানায় ১০ নং পশ্চিম গেটে থাকা আনছার আমজাদ, ভবেশ, সত্যেন্দ্র, ৫ নং পূর্ব গেটে নামের ব্যাচ না থাকা আরো অনেকে। টাকা আদায়ের কথা জানতে চাইলে ক্যাম্পের ইনর্চাজ মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন বাংলাদেশ সরকার জানে এবং প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা জানে আনছার টাকা তুলবে কারো করার থাকলে করবেন। আরো জানা যায় প্রতিটি স্পিট বোড থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা, প্রতিটি নৌকায় ৫০০, জুয়া বোড থেকে ৩০০০ টাকা জোর করে আদায় করে এতে নেতৃত্বে দেন ইনর্চাজ সাহেব প্রতিটি জায়গা থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উৎসুক জনতা নিন্দা জানায়। তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে বেড়াতে আসা জনতার দাবী জোর করে টাকা আদায় করা কবে বন্ধ হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট উৎসুক জনতার দাবী এদরে দৃষ্টান্ত শাস্তি চায়।
জনতার আলো/সোমবার, ২৭ আগস্ট ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.