জনতার আলো, লেখক,হাফেজ মওলানা মুফতি, মুহাম্মাদুল্লাহ আশ্রাফী : আমরা অনেক সময় পরস্পর ওয়াদার ব্যপারে খুব ভালো ভালো মন্তব্য করে থাকি। যেমন আমরা বলে থাকি, ওয়াদা ভঙ্গ করা কবিরা গুনাহ, ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত ইত্যাদি। কিন্তু একটি বিষয় চির সত্য হওয়া সত্তেও আমরা তার দিকে অনেকেই তেমন কোন গুরুত্ব দেইনা।
সেই বিষয়টি হলঃ আল্লাহ তায়ালা মানবজাতী থেকে বিশেষ করে তিন ধরনের ওয়াদা গ্রহণ করেছেন। ১. কুরআনুল কারীমের সুরা আ’রাফের ১৭২ নং আয়াতের মধ্যে ইরশাদ করেনঃ”স্বরন কর সময়ের কথা যখন তোমার প্রতিপালক বনী আদম তথা সমস্ত মানব মন্ডলী থেকে এই ওয়াদা নিয়েছিলেন, আমি কি তোমাদের প্রভু নই? তখন আমরা সবাই বলেছিলাম অবশ্যই! আপনী আমাদের প্রভূ।
প্রিয় পাঠক! আজ আমরা নিজেদের কর্মকান্ড ও বিভিন্ন আমলের দিকে যদি লক্ষ করি তাহলে দেখি ওয়াদার সাথে আমাদের কর্ম ও আমলের বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত। কেননা আমরা অনেকেই আল্লাহ তায়ালাকে প্রভূ হিসেবে মানছি আবার মাজারে গিয়ে পীরের কাছে সন্তান চাই, মাখলুকের সামনে সেজদা করি। মনে রাখতে হবে আল্লাহ তা’য়ালার সাথে করা ওয়াদা বজায় রাখার জন্য নিম্নের কাজ গুলো করা যাবেনা। (ক) কোন মাখলুকের কাছে সন্তান, চাকরী ইত্যাদি কিছুই চাওয়া যাবেনা। (খ) কোন মাখলুককে সেজদা করা যাবেনা। (গ) মাখলুকের নামে মান্নত করা যাবেনা। (ঘ) আশুরার তাজিয়ার ঘোড়ার পা ধোয়া পানি দ্বারা বরকত লাভ করা বা বন্ধ্যাত্ব দুর হওয়ার বিশ্বাস রাখা যাবেনা এবং তা পান করা যাবেনা। (ঙ) নিজের চাকরী ব্যবসা বানিজ্যকে নিজের বা পরিবার পরিজনদের রিজিকের মুল মাধ্যম বিশ্বাস না করা। বরং এবিশ্বাস রাখা এজাতীয় আসবাবের মাধ্যমে আল্লাহ তা’য়ালাই আমাদের সকলকে প্রতিপালন করেন। সুতরাং আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সকলকে তার সাথে কৃত ওয়াদার প্রতি যত্নবান থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন!
লেখক,হাফেজ মওলানা মুফতি, মুহাম্মাদুল্লাহ আশ্রাফী। ইমাম-খতিব, প্রিয়াঙ্গন জামে মসজিদ প্রিয়াঙ্গন হাউজিং, মিরপুর ১ ঢাকা।
জনতার আলো/রবিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.