জনতার আলো, প্রযুক্তি ডেস্ক: সাবমেরিন ক্যাবলে রিপিটার স্থাপনের জন্য দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল ২৫ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময় বিকল্প উপায়ে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেটে সরবরাহ করা হবে। এসময় ইন্টারনেটের গতি অনেকাংশে কমে যাবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড(বিএসসিসিএল)।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান জানান, এমএমই-এমই-ডাব্লিউই-৪ সাবমেরিন ক্যাবলের সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশন হতে দ্বিতীয় রিপিটার প্রতিস্থাপনের কাজ ২৫-৩০ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে এসএমডাব্লিউ-৪ সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে শুধুমাত্র টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনে টার্মিনেডেট সকল সার্কিট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
তিনি আরো জানান, এই সময়ে অপর সাবমেরিন ক্যাবল এসইএ-এমই-ডাব্লিউ-৫ এ আপদকালীন সংযোগ প্রদান এবং এসএমডাব্লিউ-৪ এ বিকল্প রুটে সাময়িকভাবে কিছু সার্কিট চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিএসসিসিএল দাবি করছে, এসইএ-এমই-ডাব্লিউ-৫ এবং এসএমডাব্লিউ-৫ সাবমেরিন ক্যাবল এবং আইটিসি এর সেবা চালু থাকবে। ফলে আন্তর্জাতিক ভয়েস এবং ডেটা ও ইন্টারনেট সার্ভিসে কোনো সমস্যা হবে না।
দেশে ইন্টারনেটের গতি নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে দেশের সকল আইজিডাব্লিউ, আইআইজি এবং টেলিকম অপারেটরদেরকে বিএসসিসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আন্তর্জাতিক সার্কিট চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড।
দেশে বর্তমানে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আসছে। দ্বিতীয় ক্যাবলের ক্ষমতা ১৫০০ জিবিপিএস হলেও মাত্র ২০০ জিবিপিএসই ব্যবহার করা যাচ্ছে। ফলে মেরামতের সময় ৫০ জিবিপিএসের ঘাটতি থেকেই যাবে।
বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন কেবল সিমিউইফোর-এর সঙ্গে সংযুক্ত হয় ২০০৫ সালে। ৩৫.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয়ে এই কনসোর্টিয়ামে যোগ দেয় বাংলাদেশ।
এরপর ১০ সেপ্টেম্বর দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন লতাচাপলী ইউনিয়নের মাইটভাঙ্গা এলাকায় এই সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন।
জনতার আলো/বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.