জনতার আলো, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পের পর ভয়াবহ সুনামিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১২০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আরো সহস্রাধিক আহত হয়েছেন। দেশটির সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহরে শুক্রবারে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর কয়েক ঘন্টা পর দুই মিটার উচু সুনামি আঘাত হানে। এর ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর আনাদুলু এজেন্সি ও চাইনা প্লাস নিউজের।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে রবিবার সকালে নিহতের সংখ্যা ৮ শতাধিক বলে জানিয়েছিলেন দেশটির জাতীয় দুর্যোগ নিরসন সংস্থার মুখপাত্র সূতোপো পুরো নুগরোও।
এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। এছাড়া বিশ্ববাসীর কাছে ইন্দোনেশিয়ায় হতাহতদের জন্য দোয়া চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো।
শুক্রবার ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পর সুলাওয়েসি পালু শহরে সুনামি আঘাত হানে। সাগর থেকে ছুটে আসা ছয় মিটার উঁচু (২০ ফুট) ঢেউ উপকূলীয় শহরটিতে আছড়ে পড়ে।
এতে পালুর বেশিরভাগ বাড়িঘর, হাসপাতাল, শপিংমল ও হোটেল ধসে গেছে। সুনামিতে একটি সেতু ভেঙ্গে ভেসে গেছে এবং ভূমিধসে পালুর প্রধান মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল (এপিসেন্টার) ছিল যেখানে, তার থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে পালু শহরে আছড়ে পড়ে সুনামি। পালু শহরে বসবাস করেন সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ।
পালুর একটি হোটেল ও মার্কেটের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বহু লোক আটকা পড়ে ছিল। ধসে পড়া ওই মার্কেটের সামনে রবিবার কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে তাদের স্বজনদের সন্ধান করছে। তাদের নিখোঁজ স্বজনরা মার্কেটের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিত অবস্থায় আটকা পড়ে আছে বলে মনে করছেন তারা।
২০০৪ সালে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প এবং তার জেরে সুনামি আছড়ে পড়ে এশিয়ার অন্তত ১৩টি দেশে। সব দেশ মিলিয়ে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়াতেই মৃতের সংখ্যা ছিল এক লাখ ২০ হাজার।
জনতার আলো/সোমবার, ০১ অক্টোবর ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.