জনতার আলো, স্টাফ রিপোর্টার: ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট নিতে কমলাপুরে ভিড় করছেন হাজারো মানুষ। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়ে কমলাপুর রেলস্টেশন যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। অগ্রিম টিকিট নিতে অনেকেই আগের রাতে অবস্থান নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।
প্রথম দুই দিনের মতোই শুক্রবার সকাল আটটা থেকে অগ্রিম টিকেট দেওয়া হচ্ছে। আজ দেয়া হচ্ছে ১৯ আগস্টের টিকিট। একইভাবে ১১ আগস্ট ২০ আগস্টের ও ১২ আগস্ট ২১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে। এই দিনগুলোতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি হবে।
আর ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৫ আগস্ট থেকে। সেদিন দেয়া হবে ২৪ আগস্টের টিকিট। এছাড়া ১৬ আগস্ট ২৫ আগস্টের, ১৭ আগস্ট ২৬ আগস্টের, ১৮ আগস্ট ২৭ আগস্টের ও ১৯ আগস্ট ২৮ আগস্টের ফিরতি টিকিট দেয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যে ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট দেয়া হচ্ছে এর প্রতিটিতেই ছিল মানুষের দীর্ঘ সারি। স্টেশন চত্বরে তিল ধারনের জায়গা নেই। যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই চোখে পড়ে মানুষ আর মানুষ। মানুষের এই দীর্ঘ লাইন স্টেশন ছেড়ে সড়কে গিয়ে ঠেকেছে।
টিকিট পেতে অনেকে ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা ধরেও লাইনে আছেন। সময় যত গড়াচ্ছে, টিকিট প্রত্যাশীদের লাইনও তত দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে টিকিট বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছেন কাউন্টারের কর্মকর্তারা।
আটটায় টিকিট বিক্রি শুরু হলেও অনেকে টিকিট পেতে গতরাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর কাউন্টারের সামনে।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, টিকিট নিতে গতকাল রাত আটটার দিকে স্টেশনে এসেছি। সকাল আটটায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আমার সামনে আর তিনজন আছেন। কাঙ্ক্ষিত টিকিট যে পাবো এটা আমি নিশ্চিত।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে অপেক্ষা করছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ঈদের সময় ট্রেনে অতিরিক্ত ভিড় হয়। পরিবার পরিজন নিয়ে ওই সময় ট্রেনে ওঠাই মুশকিল। তারপরেও সড়কপথে অতিরিক্ত যানজট হওয়ার শঙ্কা থাকায় ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছি। আমার সামনে লাইনে অনেক মানুষ। শেষ পর্যন্ত টিকিট পাব কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি। তাদের মতো অনেক যাত্রী অপেক্ষায় আগাম টিকিটের জন্য লাইনে আছেন।
আগাম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে।
রেলসূত্রে জানা যায়, এবারও মোট টিকিটের ৬৫ শতাংশ দেয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। বাকি ৩৫ শতাংশের ৩০ শতাংশ অনলাইন ও মোবাইলে। ৫ শতাংশ ভিআইপি ছাড়াও রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।
জনতার আলো/শুক্রবার, ১০ আগস্ট ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.