জনতার আলো, অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক : ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদে পরিবারের ছোট্ট শিশুদের নতুন টাকা সেলামি না হলে কি চলে। আর এ বিষয়টি মাথায় রেখেই ঈদের এ আনন্দকে আরও প্রাণবন্ত করতে প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের আগেই নতুন টাকার নোট বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ (রোববার) থেকে নোট বিনিময় শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটির পূর্ব কার্যদিবস পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ব্যতীত) নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টাকা বিনিময় হবে।
নতুন নোট বিনিময় শুরুর প্রথমদিন সরেজমিনে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে দেখা গেছে, নাতি-নাতনি, ভাগিনা-ভাগনি ও ভাতিজা-ভাতিজিদের ঈদে নতুন টাকা দিতে সকাল ১০টা থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ দিয়ে টোকেন সংগ্রহ করছেন নতুন নোট প্রত্যাশীরা। এরপর সারিবদ্ধভাবে চেয়ারে বসে সিরিয়াল অনুযায়ী নতুন নোট সংগ্রহ করছেন তারা।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড় থেকে আসা এমনই একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী হাজী মোহাম্মদ আব্দুল রব। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ঈদে নতুন টাকা নেয়াটা এক ধরনের আনন্দ। ঈদ এলেই নতুন নোট সংগ্রহ করি। বাড়িতে নাতি-নাতনিরা আছে, ঈদে সেলামি হিসেবে নতুন টাকা দিলে তারা অনেক খুশি হয়। তাদের সবসময় প্রত্যাশা চকচকে নতুন টাকা। তাই টাকা নিতে আসা। তাদের খুশি আমার আনন্দ।
নতুন টাকা নিতে আসা বেলাল হোসেন বলেন, ঈদ মানেই খুশি। আর রোজার এ ঈদে ছোটদের সেলামি দিতে হয়। বাড়িতে আমার ছোট ছেলে আছে ভাগিনা-ভাগনি আছে তাদের প্রত্যাশা থাকে নতুন নোটের। তাই সংগ্রহ করলাম। আমি মতিঝিলে চাকরি করি তাই প্রথম দিনই এসে নতুন টাকা নিলাম।
তবে এবার ২ ও ৫ টাকার নোট দেয়া হচ্ছে না। ছোট নোট কম খরচে অনেককে দেয়া যায়। এবার ১০, ২০ টাকার নোট দিতে হবে তার মানে খরচ বেশি হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এ টি এম শামছুজ্জামান বলেন, সকাল থেকেই ঈদ উপলক্ষে নতুন নোট বিনিময় শুরু হয়েছে। ঈদের আগে ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত টাকা বিনিময় হবে।
তিনি বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে টাকা দেয়ার কারণে সবাই সমান হারে টাকা নিতে পারছেন। তবে একজন গ্রাহক ঈদের আগে একবারের বেশি নতুন নোট নিতে পারবেন না।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখা থেকেও ১০ টাকা থেকে ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট (প্রতিটি একটি প্যাকেট করে) বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় হচ্ছে। একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না। তবে নতুন নোট উত্তোলনকালে কেউ ইচ্ছা করলে কাউন্টার থেকে পরিমাণ নির্বিশেষে যেকোনো মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করতে পারবেন।
যেসব ব্যাংক ও শাখায় নতুন টাকা পাওয়া যাবে রাজধানীর ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, দি সিটি ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা, জনতা ব্যাংকের রাজারবাগ শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড এগ্রিকালচার শাখা দক্ষিণখান, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবে।
জনতার আলো/রবিবার, ০৩ জুন ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.