জনতার আলো, স্পোর্টস রিপোর্টার: বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু হঠাৎ করেই সব যেনো লণ্ডভণ্ড। বাংলাদেশ হেরে বসে ৫০ রানে। সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজও।
মিরপুরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৯১ রান তাড়া করতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতেই ১৪০ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস, হেরেছে ৫০ রানের বড় ব্যবধানে। এই হারের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজের ট্রফিটাও (২-১ ব্যবধানে) ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে তুলে দিল সাকিব আল হাসানের দল।
অথচ শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। তামিম ইকবাল ৮ রান করে রানআউটের কবলে পড়লেও ঝড়ের গতিতে এগোচ্ছেলেন লিটন দাস। তাতে ৪ ওভারে ৬২ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ।
১৯ বলে দলীয় ফিফটি তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার এভিন লুইস ও শাই হোপ। পরে মাত্র ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান লুইস। এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। কিন্তু নিজের প্রথম ওভারেই হোপের উইকেট তুলে নিয়ে ঝড়ের বেগ কিছুটা কমিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। ১২ বলে ২৩ করা হোপকে বোল্ড করেন সাকিব।
কেমো পল এসে মোস্তাফিজের বল তুলে মারতে গেলে ব্যক্তিগত ২ রানে আরিফুল ইসলামের ক্যাচে মাঠ ছাড়েন। তবে দশম ওভারে দুর্দান্ত বল করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পর পর দুই বলে আউট করেন এভিন লুইস ও শিমরন হেটমায়ারকে। ৩৬ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৮৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলা লুইসকে বোল্ড করেন রিয়াদ। পরের বলে এলবি হয়ে মাঠ ছাড়েন হেটমায়ার।
নিজের তৃতীয় ওভারে ফের উইকেট তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। এবার রোভম্যান পাওয়েলকে ১৯ রানে লিটন দাশের ক্যাচে মাঠ ছাড়া করান এই অলরাউন্ডার।
১৭তম ওভার ও নিজের চতুর্থ ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। নিকোলাস পুরানকে ফেরান মোস্তাফিজ। ২৪ বলে ২৯ রান করা পুরানকে দুর্দান্ত ক্যাচে মাঠ ছাড়া করান। আর পঞ্চম বলে মেহেদির ক্যাচে ৮ রান করে ফেরেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট।
নিজের চতুর্থ ওভারে এসে আরও দুটি উইকেট লাভ করেন সাকিব। মুশফিকের ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিংয়ে মাঠ ছাড়েন রাদারফোর্ড ও ফ্যাবিয়ান অ্যালেন।
এর আগে সিলেটে প্রথম ম্যাচে বাজে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৬ রানের দাপুটে জয়ে সিরিজে সমতা পেয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ।
জনতার আলো/শনিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.