জনতার আলো, কক্সবাজার প্রতিবেদক: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে রোহিঙ্গা শিশুর সঙ্গে বাংলায় কথা বললেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা শিশু রিফাত হোসেনের হাত ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখেন তিনি।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুর মনাখালি ব্রিজের পাশে অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান এই বলিউড তারকা।
এ সময় প্রিয়াঙ্কা চোপড়া রোহিঙ্গা শিশু রিফাত হোসেনকে বাংলায় জিজ্ঞেস করেন, তোমাদের এখানে আমাকে ঘোরাবে? রিফাত হোসেন মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। এরপর হেসে দেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। পরে রিফাতের হাত ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘুরে দেখেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আরেকটি শিশুর সঙ্গে কথা বলেন। বাংলায় ছেলেটিকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তোমার নাম কী? ছেলেটি বলল, মো. রফিক। তুমি স্কুলে যাও? ছেলেটি মাথা নেড়ে বলল, যাই।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিসেফ ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সোমবার সকালে ইউএস-বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এর আগে সোমবার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে চারদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতীয় এ অভিনেত্রী। এ খবর ছড়িয়ে যায় সর্বত্র।
সোমবার কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছার পর তাকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা কিশোর ও স্থানীয়রাও যোগ দেয়।
প্রিয় তারকাকে এক নজর দেখার জন্য মুহূর্তেই ভিড় বেড়ে যায়। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আগে থেকেই পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পরে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিসেফ পরিচালিত হাসপাতালে। এ সময় হাসপাতালের ভেতরে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। প্রিয়াঙ্কা সেখানে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন।
ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বিকেল ৪টার দিকে গাড়িতে গিয়ে ওঠেন প্রিয়াঙ্কা। এ সময় হাত নাড়িয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নেন তিনি। সেই সেঙ্গ বলেন, ‘আবার আসব।
জনতার আলো/সোমবার, ২১ মে ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.