জনতার আলো, স্টাফ রিপোর্টার: কারাবন্দী ও প্রবাসে থাকা যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে তারা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই ক্ষেত্রে কারা এই সুবিধা পাচ্ছেন তাও নিশ্চিত করেছে কমিশন।
মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কোনো জেলখানায় বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকা ব্যক্তি, ভোটার যেই ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদানের অধিকারী সেই কেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোনো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে এবং বিদেশে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশি ভোটার হলে তিনি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে ভোট প্রদানের অধিকারী কোনো ব্যক্তি পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানে ইচ্ছুক হলে ৪টি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হওয়ার তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে।
এছাড়াও যে ব্যক্তি নির্বাচনী এলাকার ভোটার, সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করবেন এবং অনুরূপ প্রত্যেক আবেদনে ভোটারের নাম, ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় তার ক্রমিক নম্বর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
রিটার্নিং অফিসার এ ধরনের ভোটারের আবেদন প্রাপ্তির পর, উক্ত ভোটারের কাছে ডাকযোগে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং একটি খাম প্রেরণ করবেন, যে খামের উপর তারিখ প্রদর্শনসহ সার্টিফিকেট অব পোস্টিং এর একটি ফরম থাকবে। এছাড়াও ভোটার কর্তৃক ডাকে প্রদানের সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক পূরণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদানের জন্য তার ব্যালট পেপার প্রাপ্তির পর, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তার ভোট রেকর্ড করার পর ব্যালট পেপারটি তার কাছে প্রেরিত খামে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ডাকযোগে প্রেরণ করবেন।
রিটার্নিং অফিসার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ব্যালটের ফলাফল মূল ফলাফলের সাথে যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন। এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস/হাই কমিশনসমূহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম।
জনতার আলো/মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩/শাহানা
আপনার মতামত লিখুন :