জনতার আলো, মোঃ বিলাল উদ্দিন, কুয়েত প্রতিনিধি : কুয়েত থেকে সৌদিতে ওমরাহ্ পালন করতে গিয়ে ব্রেইন স্ট্রোক ,করে আশংকাজনক অবস্থায় কুয়েতে ফিরেছিলেন আঃ হান্নান তবে দীর্ঘ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসপাতালে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন হতভাগা হান্নান প্রবাসীর মৃত্যুর সংবাদ লেখা শেষ করতে না করতেই আরেকজন প্রবাসীর মৃত্যুর খবর নিয়ে একাধিক মাধ্যম দুয়ারে এসে হাজির।
গতকাল আব্দুল হান্নান নামে আরেকজন কুয়েত প্রবাসী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। গত একমাস আগে মোহাম্মদ হান্নান নামে একজন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী পবিত্র ওমরা হজ্ব পালন করতে সৌদিআরব গিয়েছিলেন।
সেসময় কাবা শরিফ তাওয়াফ করা অবস্থায় হান্নান ব্রেইন স্ট্রোক করেন। পরে তাৎক্ষণিক ভাবে হান্নানকে সৌদিআরবের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর কয়েকদিন পর সৌদিআরবের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হান্নানকে তাঁর কুয়েতি স্পন্সর ”কফিল” বিশেষ এক ফ্লাইটে সেদেশ থেকে কুয়েতে নিয়ে আসেন। তারপর কুয়েতের আল-আমিরি হাসপাতালে চলে গুরুত্বর অসুস্থ্য হান্নানের শারীরিক চিকিৎসা।
কুয়েতে চিকিৎসাধীন হান্নানের শারীরিক অবস্থার কোনোভাবেই উন্নতি হচ্ছিলনা, এমতাবস্থায় হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তাররা হান্নানের কুয়েতি ‘কফিল’ স্পন্সরকে পরামর্শ দেন, অসুস্থ্য হান্নানকে দেশে পাঠিয়ে দিতে।
কিন্তু হান্নানের প্রতি কুয়েতি স্পন্সরের অবর্ণনীয় ভালোবাসা থাকায়, এ কুয়েতি কফিল হান্নানকে বিনা চিকিৎসায় বা উন্নত চিকিৎসা না দিয়ে কোনোভাবেই দেশে পাঠাবেন না, আর এমনটি হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারদেরকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু অসুস্থ্য হান্নানের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলো না মোহাম্মদ হান্নানকে। গতকাল ২৩শে এপ্রিল ২০১৮ইং কুয়েতের আল-আমিরি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোহাম্মদ হান্নান।
নিহত মোহাম্মদ হান্নান একজন কুয়েতি নাগরিকের বাসায় বাবুর্চির কাজ করতেন। মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে ১৯৯৬ সালে হান্নান এসেছিলেন, তখন একাধিক কফিল ও কোম্পানির অধীনে কাজ করেন। সবশেষে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কুয়েতি নাগরিকের বাসায় বাবুর্চির কাজ করে আসছিলেন হান্নান। নিহত হান্নান নোয়াখালী জেলার, সুনাই মুড়ি থানার, হোসেনপুর হাজী বাড়ি মরহুম সত্তারের ছেলে।
এদিকে সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানাগেছে, নিহত হান্নানের মরদেহ কুয়েতের একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে হান্নানের মরদেহ দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন।
জনতার আলো/রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.