জনতার আলো, স্টাফ রিপোর্টার: ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবর জিয়ারত করেছেন মা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বুধবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে আদালত থেকে গুলশানের বাসা হয়ে ছেলের কবর জিয়ারত করতে যান খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি কোরআন তেলাওয়াত করেন, ফাতেহা পড়েন। সবশেষ পরিবারের সদস্য ও দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মোনাজাত করেন। এসময় খালেদা জিয়া কাঁদতে থাকেন। তার কান্না দেখে নেতাকর্মীরাও অনেকে কেঁদে ওঠেন।
কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। এরমধ্যে ছিল কোকোর কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা।
বিকাল পৌনে পাচঁটার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বনানী কবরস্থানে ছেলের কবর জিয়ারত করতে যান। এ সময় কবরের সামনে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া হাজিরা দিয়ে গুলশানের বাসায় ফেরেন বেলা তিনটার দিকে। পরে কিছুক্ষণ পর বনানী কবরস্থানে যান ছোট ছেলের কবর জিয়ারত করতে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামিম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও কোকোর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় স্বজন।
ফাতেহা পাঠ শেষে কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন খালেদা জিয়া। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের নেতা মাওলানা আব্দুল আলিম খলিলী।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবস্থান শেষে গুলশানের বাসায় ফিরে আসেন খালেদা জিয়া।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শ্যামা ওবায়েদ, স্ব-নির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, সাবেক এমপি ইয়াসমিন আরা হক, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিবর, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পদক নূরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মিল্টন, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা কামাল রিয়াদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল, যুবদল দক্ষিনের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতাদের মধ্যে, মুন্সি বজলুল বাসিদ আঞ্জু, আহসান উল্লাহ হাসান, বিএনপি চেয়ারপারসনে একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার, মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান, কর্নেল (অব.) ইসহাক, অহিদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোকো মারা যান। এরপর ২৮ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে এনে বনানীতে দাফন করা হয়।
কবর জিয়ারতের পর খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় এবং তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দুই জায়গাতেই কোরআন খতমেরও আয়োজন করা হয়।
গুলশান কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে শরিক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, এম এ কাউয়ূম, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিবর, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
জনতার আলো/বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.