জনতার আলো, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক এবং ঝিনাইদহ জেলা আ’লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এম.এম জামান মিল্লাত এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগ কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মিল্লাত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি জীবনের বড় একটি সময় কোটচাঁদপুর ও ঝিনাইদহ জেলায় বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামে মুজিব আদর্র্শ প্রতিষ্ঠায় ও আওয়ামীলীগের সংগঠনকে বিস্তার করতে জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করেছি। ১৯৯৩ সালের পরে ব্যবসায়িক কারনে ঢাকায় বসবাস করি।
আমি একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোটচাঁদপুর-মহেশপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় আমি যখনই এলাকায় প্রচার অভিযান ও আমার সতীর্থ নেতা কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে যাই তখনি একটি মহল আমাদের রাজনৈতিক কাজ কর্মে বাধসাধে।
গত ২০১৬ সালের ১৭ই নভেম্বর গনসংযোগ শেষে করে শহরে ফেরার পথে ভাড়াটিয়া ১৫-২০ জনের অস্ত্রধারী কুশ গাড়ী মাঠে আমার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। তারা বহর লক্ষ করে গুলি ও বোমা ছোড়ে এবং কর্মীদের মোবাইল এবং টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেই। আমি প্রায় বছর খানিক ধরে রাজনৈতিক কাজ কর্ম চালানোর জন্য মাঝে মাঝে এলাকায় এসে আখ সেন্টার সংলগ্ন আবাসিক হোটেলে থাকি। গত সোমবার তালসার প্রাইমারি স্কুল মাঠে সেচ্ছাসেবকলীগের আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় যাওয়ার পূর্বে হোটেল ম্যানেজারকে প্লাস্টিকের গ্লাসের বদলে কাচের গ্লাস ও বাথরুম পরিস্কার রাখতে বলি কিন্তু হোটেলে ফিরে দেখি ম্যানেজার কোনটাই করেনি। ক্লাইন্ট হিসাবে আমি তাকে মৃদু বকাঝকা করি। এই বকাঝকা সে ইনিয়ে বিনিয়ে হোটেল মালিককে বলতে থাকে। এক পর্যায়ে মালিক খোকনের সাথেও কথা কাটাকাটি হয়। এখানে লা নার কোন ঘটনা ঘটেনি।
বিষয়টি মালিক আমলে না নিলেও কোটচাঁদপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শাহাজান আলীর ইন্ধনে ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা শাহীন ও তার লোকজন আমার কর্মীদের লাঠিপেটা, মোটর সাইকেল ভাংচুর সহ কর্মীদের মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নেই। তাদের আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ মহলটি সাবেক এমপি চ ল সাহেবের ছত্রছায়ায় রাজনীতি করেন। তাছাড়া শাহাজান আলী কুখ্যাত শীর্ষ হুন্ডি এজেন্টও বটে। চ লের অনুগতরা তার ক্ষমতা কালে ভোরের কাগজের সাংবাদিক নাছির উদ্দীন ও নবচিত্রের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামকে শারিরীক ভাবে লাি ত করে। তার সময় আ’লীগ সহ সহযোগী অসংখ্য নেতা কর্মী তার লাঠিয়ালদের হাতে লাি ত হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার লাইসেন্স ধারী পিস্তল আছে কিন্তু সেটা ঢাকাতে। ঘটনার সময় আমার কাছে কোন পিস্তল ছিল না এবং আমি এলাকায় মারামারি করতে আসেনি।
জনতার আলো/মঙ্গলবার, ২৮ আগস্ট ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.