জনতার আলো, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ধারালো হাসুয়ার কোপে স্ত্রী সহ ৩ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা ঘাতক স্বামী কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার কাগমারী গ্রামের মাঠপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে ।
আহতরা হলেন, স্ত্রী ময়ূরী (২৩) ময়ূরীর পিতা বাহার আলী (৫৫) ও বড় বোন শাপলা (২৮)। স্থানীয়রা তাদের কে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে । এদের মধ্যে ময়ূরীর অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে কাগমারী গ্রামের মাঠপাড়ার বাবর আলীর ছেলে সবুজের সাথে একই গ্রামের বাহার আলীর মেয়ে ময়ূরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে জানতে পারেন সবুজ নেশাগ্রস্থ। প্রায়ই নেশাগ্রস্থ হয়ে সে স্ত্রী কে মারধর করতো।
সে কারনেই এক সপ্তাহ আগে গ্রাম্য সালীশের মাধ্যমে তারা একে অপরের ডিভোর্স দেন। কিন্তুু রবিবার রাতে সবুজ হঠাৎ ময়ূরীদের বাড়িতে এসে ময়ূরীর বাবা বাহার আলীকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকেন।
এসময় বাবার চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা মেয়ে ময়ূরী ও বড় বোন শাপলা এসে বাধা দিলে তাদের কেও সবুজ এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এতে ছোট বোন ময়ূরীর মাথায় আঘাত সহ হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায় এবং বড় বোন শাপলার মাথায় ও কাধে গুরতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের কে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে এবং ঘাতক সবুজকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সবুজ কে আটক করে ।
কোটচাঁদপুর স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নাজমুস সাকিব জানিয়েছেন আহতদের কে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এদের মধ্যে ছোট বোন ময়ূরীর অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহত ৩ জন কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সেই সাথে ঘাতক সবুজ কে আটক করে তার বিরুদ্ধে রাতেই মামলা দায়ের হয়েছে ।এবং আজ সোমবার তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জনতার আলো/সোমবার, ২৩ জুলাই ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.