জনতার আলো, মোঃ রিপন হাওলাদার { ক্রাইম চীফ }: রাজধানীর গুলশানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশক্রমে একটি ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়।
গুলশান ১ নং গোলচত্বরে ৫০ হাবিব সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অভিযাত রেস্টুরেন্ট পূর্ণিমাকে অস্বাস্থ্যকর নোংরা বাঁশি পঁচা খাবার সংরক্ষণ ও দধিতে বিএসটিআইয়ের মনোগ্রাম ব্যবহার না করায় ৫০ হাজার টাকা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের অন্যান্য অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
হাউজ নং ২২ স্টার প্লেসের নীচ তলায় অবস্থিত সামুদ্রিক মাছ সহ অন্যান্য রুচিশীল মনোরম পরিবেশে মাছের খাবার পরিবেশন কারী রেস্টুরেন্ট ফিস এন্ড কোং কে মেয়াদ উত্তীর্ণ মাছ ও খাওয়ার অনুপযোগী পঁচা গন্ধ বাঁশি প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংরক্ষণ সহ অন্যান্য অপরাধের দায়ে বিএসটিআই ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দুজন পরিদর্শকের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মশিউর রহমান জানান এসব অভিযাত এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে সাধারণত নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা খুব কমই আসে তার কারণ হচ্ছে এসব রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো তাদের আয়ের তুলনায় বেশি।
উচ্চ বিত্তশালী পরিবারের সদস্যরা একটু মানসম্মত মনোরম পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো খাবার খেতে এমন নামিদামি রেস্টুরেন্টগুলোতে ভির জমান।
আর এসব মানব রুপী অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা ভোজন কারী ব্যক্তিদের আকাঙ্ক্ষাকে পূঁজি করে অর্থ উপার্জনের উচ্চ লালসায় ভেজাল নিম্নমানের পঁচা বাঁশি খাওয়ার অনুপযোগী খাবার খায়িয়ে মানুষকে রীতিমতো বিভিন্ন প্রকার রোগাক্রান্ত সহ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের অপকর্ম বেগবান করতে না পারে যে জন্য এদের মানুষিক পরিবর্তনের উদ্দেশ্য আমাদের অভিযান রমজান মাস জুড়ে অব্যাহত থাকবে।
জনতার আলো/শনিবার, ০৯ জুন ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.