জনতার আলো, তপন চন্দ্র রায়, দিনাজপুর চিরিরবন্দর প্রতিনিধি : চিরিরবন্দর উপজেলার গলাহার গ্রামের মন্দিরপাড়া বিজয় চন্দ্র রায় এর মেয়ে নিলি রানী রায়(১৪) কে ধর্ষনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেয়ের বাবা বিজয় রায় বাদী হয়ে গত ৩ মে ২০১৮ রোজ বৃহস্পতিবার চিরিরবন্দর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
নিলি রায় সাংবাদিককে জানান একই গ্রামের ব্রজেন্দ্র নাথ রায়(৫৫) এর বাড়ীতে দীর্ঘদিন যাবত গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আজছিল এবং তার বাড়ীতে থাকিত।
গত ২৩ এপ্রিল সকাল ৭ টার সময় চিরিরবন্দর উপজেলার গলাহার গ্রামের মন্দিরপাড়া ব্রজেন্দ্র নাথ রায়ে ছেলে জুধিষ্টির রায় মিলন (২৮) তার নিজ বাড়ী হইতে রংপুরে নিয়ে কাতয়ালী থানা, রংপুর জেলার বৈরাগীপাড়া গ্রামের দীপক রায়ের বাড়ীতে একাধীকবার ধর্ষন করে সন্ধা ৭ ঘটিকার সময় একই গ্রামের ব্রজেন্দ্র নাথ রায় আমার নিজ বাড়ীতে রেখে যায়।
এ বিষেয়ে আমার বাবা মা জানতে চাইলে জুধিষ্টির রায়ের কু-কর্মের কথা খুলিয়া বলি পরে আমার বাবা বিজয় রায় বাবু(৪২) ও আমার মা ব্রজেন্দ্রনাথ রায়ের কাছে জিজ্ঞাসা ও বিচার চাইলে গত ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখে সকাল ৮ ঘকিার সময় আমার নিজ বাড়ীতে আসিয়া ব্রজেন্দ্র নাথ রায় এর স্ত্রী ডলি রায়(৪৫) একা পাইয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে বেপরোয়ভারে মারপিট করে এবং আমার কান্নার শব্দ শুনতে পাইলে আমার মা প্রতিবেশিরা বাধা দেওয়াতে আমার মাকেও মাটপিট করে পরে আমি অজ্ঞান হইয়া পরি।
পরে এলাকাবাসী গ্রাম্য ডাক্তার পাঃ বাবলু চন্দ্র রায়কে আমার চিসিকৎসার জন্য নিয়ে আসে। এলাকাবাসীরা আমাকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ২৮ মে শনিবার এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ২৯ মে রবিবার চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করানো হয়।
এ বিষেয় চিরিরবন্দর থানায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসেনুল ইসলাম ও এসআই গৌতম রায় জানান যে এজাহারের প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইন(সংশোধিত/০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ উৎসহ দঃ বিঃ ৪৪৮/৩২৩/৫০৬/৩৪ ধারায় যাহার মামলা নং-৪ তারিখ ০২/০৫/২০১৮ইং কিস্তু এখনো আসামীকে ধরানো হয়নি।
জনতার আলো/শুক্রবার, ০৪ মে ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.