জনতার আলো, আপেল বসুনীয়া, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারী জেলার চিলাহাটি খাদ্যগুদামে ক্রয়কৃত নিম্নমানের চালের ঘটনা ধামাচাপা দিতে বদলীকৃত কর্মকতাকে এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও একই স্থানে বহাল রাখা হয়েছে। নতুন কর্মকতা যোগদান করার পরও দায়িত্ব বুঝে পাচ্ছে না। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে বদলী হওয়া কর্মকতার ঘুটির জোর কোথায় থেকে আসছে। সূত্রে জানা গেছে, চিলাহাটি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজিলা বেগমের দিনাজপুরে বদলী হয়। সেই সূত্রে গত ২৬ ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে ওবায়দুল হক যোগদান করে। তিনি দায়িত্ব বুঝে না পেয়ে চিলাহাটি ডাক বাংলা রুমে অবস্থান নিয়ে সময়ের প্রহর গুনচ্ছেন। সূত্রটি আরো জানান, ফজিলা বেগম বিশেষ কয়েক জন ব্যাক্তির দ্বারা গত ইরি মৌসুমের কম দামের নিম্নমানের চাল ক্রয় করে গুদাম জাত করে। যা গুদামের বিভিন্ন লটের ভিতর সাজিয়ে রাখে। গুদামের রক্ষিত লট গুলির ভিতরের চাল যাচাই করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।এরই মধ্যে অন্যত্র বদলীর অর্ডার আসলে গুদামের রক্ষিত নিম্নমানের চাল নিয়ে বিপাকে পরে। তাই তিনি সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে গুদামের নিম্নমানের চাল পরিবর্তন অথবা বিভিন্ন ডিও লেটারের মাধ্যমে ডেলীভেরী দেওয়ার জন্য সময় কাটাছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নের ভিজিডির মাধ্যমে নিম্নমানের অনেক চাল ডেলীভেরী দিতে পেরেছে। চিলাহাটি খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা ফজিলা বেগমকে ফোন যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ করেনি। যোগদানকারী কর্মকর্তা ওবায়দুল হক জানান, যোগদানের পর থেকে সময়ের প্রহর গুনছি। উপজেলা খাদ্য অফিসার জানান,ফজিলা বেগমের অন্যত্র বদলী হয়ে গেছে। চলতি ক্রয় কার্যক্রমের জন্য তাকে কিছু দিন সময় দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের চাল কোথায় পাবেন গুদামে থাকতে পারেনা। এ সংক্রান্ত সংবাদ গত ১৪ জানুয়ারী চিলাহাটি ওয়েব ডটকম এ এবং ১৭ জানুয়ারী বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
জনতার আলো/মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.