জনতার আলো, স্টাফ রিপোর্টার: টানা তিন দিন ধরে শ্রাবণের বৃষ্টিতে নাজেহাল রাজধানীর মানুষ। বর্ষণে বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানি। রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে নগরীর মানুষকে পোহাতে হচ্ছে নানা ভোগান্তি। জলমগ্ন রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনাও। জমে থাকা বৃষ্টির পানির কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুর ও মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডির বেশ কিছু এলাকায় আজও তৈরি হয়েছে জলজট। তলিয়ে গেছে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, মিরপুর ১০ নম্বর, কালসি, লালকুটি (মাজার রোড) প্রধান সড়ক। যাতায়াতের প্রধান সড়কে পানি জমে থাকার কারণে এসব এলাকার বাসিন্দাদের পোহাতে হচ্ছে নানা রকম ভোগান্তি।
ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় রিক্সাচালক মজনু বলেন, ‘খ্যাপ (ভাড়া) নিয়া গেছিলাম। যাইয়া বিপদে পরছি। এত তাড়াতাড়ি পানি জমবো জানলে জীবনেও জাইতাম না। বৃষ্টি হইলেই তো পানি জমে।’
বৃষ্টির পানি জমেছে মোহাম্মদপুর এলাকার বেশ কিছু স্থানে। নবোদয় হাউজিং এলাকায় পয়ঃনিস্কাশন খাল ও রাস্তা পানিতে একাকার হয়ে গেছে। তবে আগের দিনের তুলনায় আজ পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। গতকালের তুলনায় রাস্তায় পানি কম জমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পয়ঃনিষ্কাশন জটিলতার প্রভাব পড়েছে জান্নাতবাগ এলাকায়। বৃষ্টির পানি পুরোটাই জমেছে সড়কে। হাঁটু পানি পেরিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি ক্যাম্পের বাসিন্দা ফারুক বলেন, ‘বৃষ্টি থাকব, তার পাঁচ ছয় ঘণ্টা পর পানি কমব। বৃষ্টি হইলেই এই অবস্থা হয়। পানির ওপর দিয়া হাইটা যাই। ২০ টাকার রিক্সা ভাড়া ৫০ টাকা চায়।’
মিরপুর এক নম্বর এলাকার লালকুটি এলাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে। চলাচল করা দায় হয়ে দাঁড়ায় স্থানীয় বসবাসকারীদের জন্য। বুধবারের চিত্রও ভিন্ন নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন খান বলেন, ‘বৃষ্টি হইলেই রাস্তায় পানি জমে। সারাদিন তো আর বাসায় থাকা যায় না। বাহিরে যেতে হয়, কাজকর্ম তো আছে।’
ধানমন্ডির লালমাটিয়া ও শুক্রাবাদ এলাকা ঘুরেও এমন চিত্র দেখা গেছে। কাজেকর্মে স্বাভাবিক চলাচলে ঘর থেকে বেরিয়েই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদাদের।
জনতার আলো/বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.