জনতার আলো, তৌকির আহাম্মেদ হাসু, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর সদর উপজেলায় প্রেমিকার পরিবারের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর সহ মারপিটে মুচি প্রেমিকসহ ৭ জন আহত ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
আদালতে মামলা করায় তা তুলে নিতে নানা হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলে ভুক্কভোগী পরিবারের অভিযোগ । ঘটনাটি দিগপাইত ইউনিয়নের রঘুনাথপুর দিঘুলী আর্দশ বটতলা এলাকায় গত ১৭ জানুয়ারী বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে-জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের রঘুনাথপুর দিঘুলী বড়ভিটা আদর্শ বটতলা গ্রামের মুচি শ্যামল চন্দ্রদাস এর ছেলে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র বিপুল চন্দ্র দাস এর সাথে একই গ্রামের রঘুনাথপুর দিঘুলী বড় ভিটা আদর্শ বটতলার দক্ষিন পার্শ্বে ফকির বাড়ী গ্রামের মুসলিম পরিবারের জিয়াউল হক এর কণ্যা এ্যাড.খলিলুর রহমান উচচ বিদ্যালয়ের ২০১৭ সালের জেএস সি পরীক্ষার্থী জেসমীন আক্তার(১৪)এ প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে।প্রেমের পরিনয় ঘটাতে বিয়ের পূর্বেই জামালপুর কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিপুল চন্দ্র দাস হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে।পরে ২০১৭ সালে’র ১৩ নভেম্বর তারা দু’জনে’র সিদ্ধান্তে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা জিয়াউল হক নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মহব্বত কবীর কপোত-কপোতিকে উদ্ধার করে কপোতি জেসমীন আক্তার কে তার পিতার জিম্মায় দেন।
কপোত বিপুল চন্দ্র দাস কে পুলিশ হেফাজতে রেখে দিয়ে এক সমঝোতায় তাকেও ছেড়ে দেয় পুলিশ।এ নিয়ে উভয় পক্ষের অভিবাবকদে’র মাঝে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে গত ১৭ জানুয়ারী বুধবার বিকেলে বিপুল চন্দ্র দাস ঢাকা থেকে রঘুনাথপুর দিঘুলীর বসত বাড়িতে আসলে আক্রোশ বশতঃ প্রেমিকা জেসমীন আক্তারের পিতা জিয়াউল হকের ভাড়াটিয়া ক্যাডার দিয়ে প্রেমিক বিপুল চন্দ্রদাস এর পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।এতে বিপুল চন্দ্রদাস(২০) তার পিতা ফুলকুমার শ্যামল চন্দ্র দাস ও তার মা শেলী(৩০) দুই দীদা ফুলমতি(৫০) এবং আলোতী(৪৫),ফুপু লক্ষী (২৫) সহ প্রতিবাদকারী জাহিদ(১৮)আহত হয়।আহতদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় জিয়াউল হক(৩৫) কে প্রধান বিবাদী করে পানো মিয়া(২৫) মাসুম মিয়া(২০)শামীম মিয়া(১৭)রাসেল মিয়া(১৭) রাসেল মিয়া (২০) আরিফ মিয়া (২০)আফসার আলী(৩৫)আফজাল হোসেন(৩২)জলিল (৪৫)এদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি শ্যামল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে এ মামলাটি করেছেন।
এ ব্যাপারে বিপুল চন্দ্রদাস এর পিতা শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন আমরা সংখ্যালঘু হওয়ায় মেয়ে’র পক্ষের প্রভাবে ও নানা হুমকিতে ভয়ে আদালতে মামলা দিয়েও নানা হুককিতে আছি।আমরা চলা ফিরা করতে পারছিনা । আবারও মারধর সহ বাড়ী ঘর ভেঙ্গে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছেন জিয়াউল হক তার ভাডাটিয়া ক্যাডার দিয়ে।
এ বিষয়ে জিয়াউল হক জনতার আলোকে বলেন,আক্রোশ বশতঃ ঘটনাটি ঘটেছে,আমি আহতদে’র চিকিৎসা বাবদ খরচ দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এ ব্যাপারে দিগপাইত ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি,উভয় পক্ষকে ডেকে সুরাহা’র ব্যাবস্থা করা হবে। নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মহব্বত কবীর বলেন, হামলা ও ভাংচুর মারপিট ঘটনায় কোন তদন্ত কেন্দ্রে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে শুনেছি আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
জনতার আলো/বুধবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.