জনতার আলো, দিদারুল আলম (জিসান), জেলা ব্যুরো চীফ, কক্সবাজার: কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা এলাকায় এক অসহায় পরিবারকে বসত ভিটে বাড়ীতে চলাচলের রাস্তায় দেয়াল বসিয়ে দিয়ে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি।
জানা যায়, কক্সবাজারের ঝিলংজা এলাকার বেদিউজ্জামানের পুত্র আবু তাহেরের তার বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি ও তার বসতভিটার মধ্যে দেয়াল বসিয়ে দিয়ে তাদের পরিবারের হাটা চলা বন্ধ করে দিয়েছে।
ভূক্তভোগী আবু তাহের জানান সে গত ফেব্রুয়ারী-২০১৭ ইং মাসের দিকে দ্বীন ইসলামের দাওয়াতের সফরে ০৫ মাসের জন্য ইন্দোনিশিয়া সফর করেন।
সে এলাকায় না থাকা অবস্থায় দক্ষিণ জানারঘোনা ঝিলংজা এলাকার মোঃ নুরুর পুত্র শামসুদ্দোহা(৩৫), মৃত শামসুল হুদা পুত্র মোঃ নুরু, রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম গং রা আবু তাহেরের বসত ভিটায় প্রবেশ করে অমানবিক ভাবে তার রোপন করা ৪ টি ঝাম গাছ, ৫টি আম গাছ, ১টি নারকেল গাছ, ১টি আমড়া গাছ এবং আনুমানিক ২০টি সুপারী গাছ কেটে ফেলে। আবু তাহের ও তাদের ফ্যামিলি তাদের ঘরে ঢুকতে না পারার মত দেওয়াল বসিয়ে দিয়েছে।
ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে কক্সবাজারের ঝিলংজা মৌজার ১১৩০নং খতিয়ানের ২৭ শতক জমি রয়েছে। ২৩০৮২ মধ্যে ২১ শতক ও ২৩০৮৩ দাগের মধ্যে ৬ শতক তার বাপ- দাদার সম্পত্তি রয়েছে। বর্তমানে তার বসতভিটা উক্ত বৈধ জমির মধ্যে রয়েছে।
উপরে উল্লেখিত ভূমি দস্যুরা আবু তাহেরের পরিবারকে নিরীহ ও অসহায়ত্ব দেখে তার পৈত্রিক সম্পত্তি বসত ভিটার জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঝিলংজা এলাকার মহিলা এম.ইউ.পি বুলবুল আক্তার জানান গাছ কর্তন ও চলাচলের রাস্তায় দেয়ালের বিষয়টি মৌখিকভাবে আবু তাহেরের কাছ থেকে জেনেছি। তবে লিখিতভাবে আমিও আমাদের ইউনিয়নের কাছে কেউ অভিযোগ না করার কারণে শালিশে বসতে পারিনি।
এদিখে অভিযুক্ত শামশুদ্দোহার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আবু তাহেরের পরিবার বর্তমানে তাদের ঘরে দেওয়ালে উঠে লাফ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তাদের চলাফেরার মত সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে উপরে উল্লেখিত অভিযুক্তরা।
তাদের চলাচলের রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগী পরিবার।
জনতার আলো/শনিবার, ০৭ জুলাই ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.