জনতার আলো, মোঃ নাজমুল ইসলাম পিন্টু, জেলা ব্যুরো চীফ, মুন্সিগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ ১৫ নভেম্বর টঙ্গীবাড়ি উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পূষ্প অর্পন বিজয় র্যালি, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এর পক্ষ থেকে ১৯৭১সালে উপজেলায় নিহত শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে পূষ্পঅর্পন, পতাকা- উত্তোলন, দোয়া মাহফিল ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালীটি উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠ হতে বের হয়ে উপজেলার টঙ্গীবাড়ি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে টঙ্গীবাড়ি ব্রিজ হয়ে পুণরায় উপজেলা অডিটরিয়ামে এসে শেষ হয়।
পরে অডিটরিয়ামে একুশ বিক্রম পুর টঙ্গীবাড়ি সংগঠনের আয়োজনে আলোচনা সভা ওবীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি। টঙ্গীবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কাজী আব্দুলএর সভাপতিত্বে- অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার- মোঃ শামসুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মাৎ হাসিনা আক্তার, জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কুতুবউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জামাল হোসেন, মহান মুক্তিযোদ্ধে গকুল নগর ক্যাম্প ইন্চার্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.শামসুল হক সাহেবের কন্যা এড.আফিয়া বেগম হ্যাপি, জেলা পরিষদ সদস্য আকলিমা আক্তার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহাত খান রুবেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল- হোসেন কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন- মাঝি, উপজেলা আ’লীগ নেতাকর্মি নবীন কুমার রায়,থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান খান প্রমূখ।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ১৪ই নভেম্বর রাতে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন টঙ্গীবাড়ি থানায় হামলা চালায়। রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমনের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একসময় মাইকে আত্মসমর্পণ এর ঘোষণা দেয়।
এ মহান কৃতিত্বে অবদান রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শামসুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সরাফত হোসেন রতন,আঃ রউফ মোল্লা,মোফাজ্জল হোসেন,স্বপন দাস গুপ্ত সহ থানার অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা।পরে রাতেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্যদিয়েই ১৫ই নভেম্বর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রটকাস্টিং চ্যানেল (বিবিসি) এর ঘোষণা মতে টঙ্গীবাড়ি থানা বাংলাদেশের ২য় থানা হিসাবে হানাদার মুক্ত হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.