জনতার আলো, মনরিুজ্জামান মনির, জেলা ব্যুরো চীফ, টাঙ্গাইল : আতোতায়ির হাতে খুন হওয়া নাতী মাুসদ রানা শয়নের (০৮) হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইলে সংবাদ সম্মেলন করেছে নানি মোছা. মাজেদা বেগম। সে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার রহুলী গ্রামের মো. আজাহার আলীর স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঘাটাইলের রামপুর গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের হাতে অপহৃত হন মোছা. মাজেদা বেগমের নাতি মাসুদ রানা শয়ন। অপহৃতের পর ২ অক্টোবর মাসুদ রানার মুক্তির জন্য মাসুদ রানা শয়নের পরিবারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। মুক্তিপন বাবদ দুই লক্ষ টাকা প্রদানের পরেও মাসুদ রানাকে হত্যা করে মধুপুর উপজেলার টেংরী কবরস্থানের পাশে দাফনবিহীনভাবে গুম করিয়া মাটিতে পুতে রাখে।
পরবর্তীতে মাজেদা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘাটাইলের রামপুর গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), ভূঞাপুর উপজেলার রুহুলী চর পাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো. সোহেল (২০), গোপালপুর উপজেলার কামাক্ষাবাড়ি গ্রামের হিরালাল আর্য্য এর ছেলে গৌতম চন্দ্র আর্য্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ি ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ নিহত মাসুদ রানার কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। আসামী হত্যা সাথে জড়িত ও হত্যা কান্ডের ঘটনা নারী ও শিশু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দেন। কয়েকমাস জেল হাজতে থাকার পর আসামী জামিনে মুক্তি লাভ করে। জামিনে বের হওয়ার পর আসামীরা মোছা. মাজেদা বেগম ও নিহত মাসুদের মা মাসুদা বেগমকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি ধামকি দেয়।
পরবর্তীতে নিজেদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ভূঞাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। সাধারণ ডায়েরী নং ১৪৮। মোছা. মাজেদা বেগম বলেন, আমার নাতী ও আমার মেয়ে তার ছেলে চিরতরে হারিয়েছি। তার পরও আসামীরা আমাদের স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে দিচ্ছে না। একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরাওতো মানুষ, আমাদেরও তো সমাজে স্বাভাবিকভাবে জীবন করার অধিকার আছে। এখন আমাদের নিরাপত্তা চাই। সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ঘটনা প্রধানমন্ত্রীসহ উর্দ্ধতম কর্মকর্তাদের জানিয়ে আমাদের নিরাপত্তা ও আসামীদের মৃত্যুদন্ড দাবি করছি। জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.