জনতার আলো, স্পোর্টস রিপোর্টার: পাকিস্তান, ভারত ও থাইল্যান্ডকে হারিয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। আজ শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ায় স্বাগতিক দলকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে টাইগ্রেসরা।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে উড়িয়ে ফিরে পায় আত্মবিশ্বাস। এরপর আর বাংলাদেশকে আটকানো যায়নি। ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে আয়েশা রহমান, শামীমা সুলতানারা। ভারতীয় নারী দলকে এর আগে কোনো দল এশিয়া কাপে হারাতে পারেনি। বাংলাদেশ তাদেরকে মাটিতে নামিয়ে আনেন। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডকে হারিয়ে প্রত্যাশিত জয় পায়। ওই জয়ে ফাইনালের পথ তৈরি করেন সালমা খাতুনের দল।
শনিবার কুয়ালালামপুর মাঠে মালয়েশিয়াকেও বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ১৩০ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে স্বাগতিক দল আটকে যায় ৬০ রানে। ৭০ রানের জয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করে ফাইনাল।
শিরোপা নিষ্পত্তি হবে রোববার। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ভারত।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটিতে শামিমা সুলতানা ও আয়েশা রহমান ৯.৫ ওভারে তোলেন ৫৯ রান। দশম ওভারের পঞ্চম বলে এ জুটি ভাঙেন সাহসা আজমি। ২৭ বলে ৩১ রান করে আয়েশা আউট হন।
এরপর শামিমা সুলতানা একাই দলের রানের চাকা সচল রাখেন। ১৬তম ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া আঘাত করেন দুরাইসিঙ্গাম। ৭ রান করা ফারজানা হক এবং সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা শামিমা সুলতানা আউট হন ওই ওভারে। শেষ দিকে সানজিদা ইসলাম ১২ বলে ১৫ এবং ফাহিমা খাতুন ১২ বলে ২৬ রান তুলে বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন।
সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা শামিমা তার ইনিংসটি সাজান ৫ বাউন্ডারিতে। ২১৬.০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা ফাহিমা বাউন্ডারি হাঁকান ৩টি। বল হাতে মালয়েশিয়ার সেরা বোলার দুরাইসিঙ্গাম। ১৯ রানে ২ উইকেট নেন তিনি।
বল হাতে তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন জাহানারা আলম। ডানহাতি পেসারের বলে আউট হন ক্রিস্টিনা বারেট। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে রান আউট হন ইউসরুনা ইয়াকুপ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মালয়েশিয়ার ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে পারেননি। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে তুলে মাত্র ১৭ রান। ১০ ওভারে রান ৩ উইকেটে ৩২।
ধীর গতিতে রান তোলায় বাড়তে থাকে চাপ। সেই চাপ আর পরবর্তীতে জয় করতে পারেননি মালয়েশিয়ার নারীরা। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৬০ রানের বেশি করতে পারেননি। বল হাতে ৪ ওভারে ৮ রানে ৩ উইকেট নেন রুমানা আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম, সালমা খাতুন, নাহিদা আক্তার ও খাদিজা তুল কুবরা।
৭০ রানের জয়ে কুয়ালালামপুরে উড়ে বাংলাদেশের পতাকা। স্বপ্নের ফাইনালে টাইগ্রেসরা। আরেকটি জয়ে বাংলাদেশের হাতে উঠতে পারে শিরোপা। ভারত বধের আরেকটি কাব্য কি মালয়েশিয়ায় রচনা হবে।
জনতার আলো/শনিবার, ০৯ জুন ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.