জনতার আলো, মোঃ নাজমুল ইসলাম পিন্টু, জেলা ব্যুরো চীফ, মুন্সিগঞ্জ : ডিজিটাল সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারকা তৈরি হওয়া যেন ডালভাতের মতো হলেও কঠোর সাধনা করেই তারকাতে পরিনত হয়েছে মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুরে মেয়ে টুম্পা খান সুমি। ছোট বেলা থেকেই ২০০৮ সাল থেকেই বন্ধুবান্ধবদের দেখতেন গান শিখতে যেতে, এ দেখে তারও অাগ্রহ জাগে তিনিও গান করবেন। সে থেকে তিনি অাসতে অাসতে সংগীত জগতে পা রাখেন। সম্ভব ২০১৪ সাল থেকে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পীর গান কভার করে লাইভে অাসেন। অার সেই সাথে অাসতে অাসতে গান অাপলোড হতে হতে, হঠাৎ একদিন অারমান অালিফের ” অপরাধী ” গানটি কভার করে লাইভে অাসেন টুম্পা খান সুমি। তার অজানা অচেনা কন্ঠে ভাসতে থাকে ” অপরাধী ” গান। লাক্ষ্যে স্রোতার লাইক কমেন্টে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ভাসতে থাকে টুম্পার কন্ঠে অপরাধী গানের ছোয়ায়। অারমান অালিফ অপরাধী গান গেয়ে যতটুকু জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, তার চাইতেও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছেন টুম্পা খান। যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখতে বা শুনতে পাই টুম্পার কন্ঠে কভারকৃত ” অপরাধী ” গান।
তবে, টুম্পা খান বিভিন্ন্য টিভি চ্যানেলে বলেছেন, অারমান অালিফ যদি অপরাধী গানটি না গাইতো বা গানটি না প্রকাশ করতো অামি টুম্পা খান কখনই এইরকম জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারতাম না। অামি অারমান অালিফের গান কভার করেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছি। এটা অামি নিজেই স্বিকার করি। এতে লুকচুরির কিছু নেই।
টুম্পা খান মুন্সিগঞ্জের মেয়ে। রাতারাতি তারকা হলেও শতব্যাস্ততা অার দুস্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পোস্ট ভিডিও গান অাপলোডে কিছু মূখসধারী ফেক অাইডি তার বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করা শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে ফেসবুক জুরে চলছে নানান রকম ষড়যন্ত্র। অানুমানিক ১৭ টি অাইডি টুম্পা খান সুমি সহ বিভিন্ন্য নামে ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে টুম্পার ছবি ব্যাবহার করে। এ দেখে টুম্পা টেশশনে দিন কাটাচ্ছেন। তবুও থেমে নেই তিনি। শত ধাক্কার মাঝেও সংগীতেই অাছেন সংগীতেই থাকবেন বলে জানাগেছে।
কিছুদিন অাগে অনলাইনে একটি টিভি চ্যানেলের লাইভে টুম্পা খান তার নিরাপত্তার বিষয়ে বলেন, অামি একজন মেয়ে পড়াশুনার কাজে অামি ও অামার ছোট ভাই ঢাকাতে থাকি। এখনতো অারো থাকতে হবে ঢাকাতে। অামি একজন মেয়ে অামারতো নিরাপত্তার একটা ব্যপার অাছে। অামি জানি যে কে বা কাহারা অামার পেছনে লেগেছে অামার ক্ষতি করার জন্য। এ বিষয়ে অামি কি করবো বুঝেে উঠতে পারছি না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টুম্পা খান নামের ফেক অাইডি সমন্ধে তিনি জনতার অালোকে জানান, অামি একটি ফেসবুক অাইডি ব্যবহার করি। এবং অামার পেইজ ও অাছে। কিন্তু এত অাইডি কন্ট্রোল করা অামার পক্ষ্যে কোনদিনই সম্ভব না। কে বা কাহারা পেছন থেকে অামার সমন্ধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করার জন্য হয়তো অামার নামে বহু ফেক ফেসবুক অাইডি ব্যবহার করছে। অাপনারা কেউ বিভ্রান্তিতরে পরবেন না। এবিষয়ে অামি খুবই নিরাপত্তা হীনতায় অাছি। নারারকম বাজে মন্তব্যের মধ্যে দিয়েও কাজ করে যাচ্ছি।
অপরাধী গানটি টুম্পার কন্ঠে কভার হওয়ার পর থেকেই মিডিয়াও যেন হুমড়ি খেয়ে টুম্পা খানকে সাপোর্ট দিচ্ছে। লাখো লাখো দর্শক স্রোতা টুম্পাকে সাপোর্ট করেন। হাজার হাজার বার গানটি দেখেছেন জনতা। এযেন এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। টম্পার পার্ফমেন্স দেখে দেশবাসী খুবই মুগ্ধ। যেখানে সেখানে ছোট থেকে বড় দের কাছেও শোনা যায় টুম্পা খানের কথা। ছোট বড় সবাই গানটি মন থেকে শুনেছেন। লাখো লাখো স্রোতা মাতিয়ে টুম্পা খান রাতারাতি তারকা খ্যাতি অর্জন করেন এবং জায়গা করে নিলেন শিল্পী জগতে। এগর্ব মুন্সিগঞ্জ – বিক্রমপুর তথা গোটা দেশবাসীর।
এবিষয়ে, ফেসবুক বিউটিফুল বিক্রমপুর মুন্সিগঞ্জ গ্রুপ এডমিন ও www.RadioMunna.com এর এডিটর মোঃ শওকত হোসেন সাক্ষাতকারে বলেন, অামি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই লক্ষ্যে করি, টুম্পার পোস্ট গুলোতে নানানরকম বাজে মন্তব্যে অাসে। কিছু অসাধু চক্র তার বিরুদ্ধে কাজ করছে। অামাদের দেশের মানুষের একটাই সমস্যা হলো, মানুষের ভালো দিকটা অামরা দেখিনা, অামরা মানুষকে খারাপ বানাতে পারি, অামাদের প্রধান সমস্যা এটাই। তবে, এবিষয়ে অামি বলতে চাই, টুম্পাকে অবশ্যই সন্ধ্যার অাগে সমস্ত কাজ সমাপ্ত করে নিজ গন্তব্যে পৌছাতে হবে। তাহলে, হয়তো কিছুটা নিরাপত্তা থাকবে। মেয়ে মানুষ সন্ধ্যার অাগেই বাড়ি ফিরলে নিরাপত্তা ঝুকি কমবে।
জনতার আলো/রবিবার, ০৮ জুলাই ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.