জনতার আলো, দিদারুল আলম (জিসান), জেলা ব্যুরো চীফ, কক্সবাজার: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইয়াবা কারবারির অন্যতম তালিকাভুক্ত টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলার ইয়াবা ডন শামশুল আলম বাবুল শেষ পর্যন্ত ধরা খেয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে হ্নীলা তেলিপাড়া এলাকা থেকে তাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকাঈ সংস্থার সদস্যরা আটক করে।
গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশব্যাপী ইয়াবা বিরোধী অভিযান শুরু হবার পরেও ইয়াবা ডন বাবুল মেম্বার পালিয়ে যাননি। তিনি বরাবরই নাফ নদী তীরে আত্মগোপনে থেকেছেন। আর এমন সময়েও বাবুল ইয়াবার চালান খালাস করেছেন।
বাবুল মেম্বারের সঙ্গে সাইফুল ইসলাম নোমের একজন ইয়াবা করাবারিকেও আটক করা হয়েছে। সাইফুল হ্নীলার সিকদার পাড়ার আতর ব্যাপারী শামশুর পুত্র। সাইফুলও অনেক টাকার মালিক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টপ তালিকাভুক্ত ইয়াবা ডন হচ্ছেন বাবুল মেম্বার। হ্নীলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হচ্ছেন টেকনাফের শীলবুনিয়া পাড়ার সবচেয়ে বড় ইয়াবা ডন হাজী সাইফুল করিমের সহযোগী। তিনি বরাবরই নাফ নদী তীরে অবস্থান করতেন।
জানা গেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাদের প্রতি বাবুল মেম্বারের সবচেয়ে বইশ আস্থা ছিল তারাই তাকে ডেকে নিয়ে আটক করেছে।
তবে শনিবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফের বিজিবি–২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়কের সঙ্গ যোগাযোগ করে বাবুল মেম্বারের আটক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ওই সময়ে পর্যন্ত এরকম কোনো খবর পাননি বলে জানান। অপরদিকে একই সময়ে টেকনাফের ওসি’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাবুল মেম্বার আটক হয়েছেন বলে শুনেছি তবে নিশ্চিত হতে পারছি না।
গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে হ্নীলা স্টেশনের কয়েক ব্যক্তি বাবুল মেম্বারের আটকের খবরটি নিশ্চিত করে বলেছেন, তাকে সরকারি বাহিনীর গাড়িতে তুলে টেকনাফের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাবুল মেম্বারের বিরুদ্ধে ডজন খানেক ইয়াবার মামলা রয়েছে। তিনি ফুলের ডেইলে দেখার মতো একটি ইয়াবা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। সেই বাড়িতে ডজন খানেক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। প্রসঙ্গত, হ্নীলার ইয়াবা ডন নুরুল হুদা মেম্বার ও ইয়াবা ডন জামাল মেম্বার এখনো এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।
জনতার আলো/রবিবার, ০১ জুলাই ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.