জনতার আলো, নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল তাকে তলব করা নোটিশে ৩ মে হাজির হতে বলা হয়েছিল। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। নামে-বেনামে ডিআইজি মিজানের শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে দুদকের কাছে।
সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে ১০ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।
দুদক সূত্র জানা যায়, এর আগেও ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করেছিল দুদক। কিন্তু তখন তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল।
তবে এবার নতুন করে অনুসন্ধানে তার চাকরি জীবনে যাবতীয় আয়-ব্যয়, এনবিআরে দেওয়া সম্পদের তথ্য, নারীঘটিত বিষয়ে অর্থ খরচের পেছনে টাকার উৎস, বিদেশে পরিবার-পরিজনের জন্য পাঠানো অর্থসহ পুরো বিষয়টি অনুসন্ধানের আওতায় আনা হচ্ছে।
দুদক জানায়, ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। চাকরি জীবনে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নামে-বেনামে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে। একাধিক ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল অর্থ ও ফিক্সড ডিপোজিট। এমনকি দেশের বাইরে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ডিআইজি মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ বছরের জানুয়ারিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ০৩ মে ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.