জনতার আলো, নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) থেকে প্রত্যাহার হওয়া উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি)মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের অনুসন্ধান দলের কাছে সম্পদ সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দেওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা না দেওয়ায় দুদক তার (মিজান) বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা ভাবছে বলে সোমবার দুদকের সচিব মো. শামসুল আরেফিন জানিয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনা তোলপাড় সৃষ্টি করার মধ্যে অপর এক নারী সংবাদ পাঠককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগের মুখে তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
গত বৃহস্পতিবার (৩ মে) সেগুন বাগিচায় দুদক কার্যালয়ে মিজানকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেদিনই তাকে রবিবারের (০৬মে) মধ্যে অর্জিত সম্পদের পক্ষে কিছু নথিপত্র হাজির করতে বলা হয়।
দুদক সচিব মো. শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধানের জন্য ডিআইজি মিজানের কিছু নথি রবিবারের মধ্যে দুদকে নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি গতকালও সেসব জমা দেন নাই। তদন্তে এভাবে যদি অসহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে দুদক আইনের ১৯/৩ ধারা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
দুদক সূত্র মতে, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তিনি তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক।
এদিকে ডিআইজ মিজানের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তদন্ত করছে।
জনতার আলো/সোমবার, ০৭ মে ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.