জনতার আলো, মোঃ শাহিনুর রহমান, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় বালাপাড়া সীমান্ত পশ্চিম ছাতনাই ৭৯১ এর ৬ এস পিলার দিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে খলিল (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় বি এস এফ।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বালাপাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মোবারক ইসলাম, ডিমলা থানার ওসি, এস আই,এ এস আইগণ। অপরদিকে ভারতের বি এস এফের পক্ষে কোম্পানি কমান্ডার ও কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি থানার ওসি প্রবীন প্রধান নেতৃত্ব দেন।
বুধবার রাত পৌন ৯টার দিকে ভারতীয় বি এস এফ ও বাংলাদেশী বিজিবির উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশের বিজিবি এর কাছে মৃত খলিলুর এর লাশ ৭৯৩ নম্বর সীমান্ত প্রধান পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহত খলিলের লাশ ফেরত দেয়া হয়। বালাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা লাশটি ডিমলা থানা পুলিশের কাছে হস্থান্তর করেন। মৃত খলিল ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতনাই গ্রামের মকছেদ আলীর ছেলে। তিনি মাদককারবারী ছিলেন বলে জানায় বিজিবি।
উল্লেখ যে, ১৫ জানুয়ারী বালাপাড়া সীমান্তে পশ্চিম ছাতনাই ৭৯১ এর ৬ এস পিলারে প্রবেশ করলে ১৫ জানুয়ারী ভোর রাতে খলিলসহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। তারা মূলত ফেনসিডিল ও গরুপাচারে রাখালের কাজ করত। এ সময় ভারতের কোচবিহার ব্যাটালিয়নের ভুজারীপাড়া বিএসএফের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন ও গুলি ছোড়েন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও খলিল বিএসএফের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে সকাল ৯ টা দিকে লাশটি দেখা যায় এবং বি এস এফ লাশটিকে নিয়ে য়ায়। এর পর বিএসএফ সদস্যরা খলিলের লাশ তাদের জিম্মায় নিয়ে যান। গতকাল বুধবার রাতে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে একটি কফিনে করে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
নিহত খলিলের স্ত্রী শেফালী বেগম জানান, তার স্বামী বাড়ির পাশে ছোট একটি ধানভার মেশিন বসিয়ে ব্যবসা করত। সোমবার বিকালে সে বাড়ি থেকে গ্রামের ঠাকুরগঞ্জ বাজারে যায়। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সকালে লোকমুখে জানতে পারি- আমার স্বামী ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে।
এ ব্যাপারে ভারতীয়দের নিকট থেকে খলিলের লাশ গ্রহণ শেষে ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ জানান, আমরা স্থানীয়ভাবে আইনি কার্যক্রম শেষে খলিলের পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করব।
জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.