জনতার আলো, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার পোষ্ট অফিস মোড় শীতকালীন পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। ডিমলা সদরে কাউশা মোড়সহ শহরের অলিতে গলিতে জীবিকার তাগিদে শীতকালীন পিঠার এসব দোকান জমে উঠেছে।
অফিস কিংবা বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পিঠা খেতে ভিড় জমাচ্ছেন। এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসায় লাভবান হওয়া যায়। তাই পুরুষের পাশাপাশি রাস্তায় বসে পিঠা তৈরিতে অনেক সময় মহিলাদেরও দেখা যাচ্ছে।
ডিমলা থানার পোষ্ট অফিসের সামনে চিতই পিঠা বিক্রেতা পোষ্ট অফিস মোড়ের মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ শীতের শুরুতেই ধনিয়ার পাতা, মরিচ, সরষে বাটা, শুঁটকি বাটা দিয়ে চিতই পিঠা বিক্রি শুরু করি। শীত বাড়ার সাথে সাথে পিঠা বিক্রিও বেড়ে যায়। প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৮-১০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করি। প্রতি পিস পিঠা ৫ টাকায় বিক্রি হয়। সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি।
প্রতিদিন ১০০০-১৫০০০ টাকার পিঠা বিক্রি করি। এরমধ্যে পিঠা তৈরির সামগ্রীর খরচ বাদে ৩০০-৪০০ টাকা লাভ থাকে। শীতের শুরু থেকে ২-৩ মাস পিঠা বিক্রির পরে ছোট চায়ের দোকান দিয়েই ৪ সদস্যের সংসার চালাই।
পিঠা ক্রেতা মোঃ নুরন্নবী ইসলাম, বুলবুল আহম্মেদ, জাহিদুল ইসলাম, সহ সকলেই জানান, চিতই পিঠা,পিয়াজু ভাজা, রশুনি ভাজা,মরিচ ভাজা, মুখরোচক খাবার। তাই মাঝে মাঝে বাজারে পিঠা খাই। সৈয়দ পুর ও রংপুর থেকে আসা আশরাফুল কবির, মীর কাশেম, মাহফুজুল হক নামে তিনজন বলেন, বাড়িতেও পিঠা তৈরি হয় কিন্তু বাজারে দোকানে বন্ধুদের সাথে মজা করে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
জনতার আলো/রবিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.