জনতার আলো, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এই মৌলিক চাহিদাগুলো মানুষের জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য উপাদান। আর সেই অপরিহার্য উপাদানের মধ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থাই যদি ডাক্তার সংকটের কারণে ব্যাহত হয় তাহলে কে দেবে চিকিৎসা কে নেবে দায় ? এমনটাই ঘটেছে নীলফামারী সীমান্তবর্তী উপজেলা ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মঙ্গাপিড়ীত বন্যার্ত, চরঅঞ্চল ও ঘনবসতিপূর্ণ এই উপজেলায় প্রায় ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫শত ১৭ জন লোকের বাস। যার বিপরীতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারী এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাঃ মাত্র ৩ জন !
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ রাশেদুজ্জামান (রাশেদ) এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন ৫০ শয্যা রুগীর পাশাপাশি বহির বিভাগে দুই থেকে আড়াই শত এবং দৈনন্দিন ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী ভর্তি থাকে, সব মিলে বিরতিহীন ভাবে ছুটতে হয় আমাদেরকে। তাই সংশ্লিষ্ট যথাযথ কতৃপক্ষকে ডাক্তারের চরম সংকট পূরণে আবারও আহবান জানানো যাচ্ছে।
এর আগে প্রায় ডজন খানিক ডাঃ ছিল। কিন্তু এখন তা না থাকার পিছনে কি কারণ থাকতে পারে এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সারোয়ার আলম বলেন যেসব ডাক্তার এখানে আসেন তাদের অভ্যন্তরীন কি সমস্যা তা আমার জানার বাইরে। তবে আমি যতটুকু বুঝি তা হয়তো এখানে আনুসাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা কম, গ্রামে থাকার অনিহা, উচ্চতর ডিগ্রী নেওয়ার জন্য মেডিকেল কলেজ গুলোতে বদলি ইত্যাদি কারণে তারা থাকতে চান না। জনসংখ্যা অনুপাতে ডাক্তারের ব্যাপক প্রয়োজন। তা না থাকায় আমরা আমাদের ডিউটির বাইরেও সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। তাই ডাঃ সংকট নিরসনে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
জনতার আলো/সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.