জনতার আলো, নীলফামারী ডিমলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলায় পরকিয়া প্রেমে ধরা পড়ে আয়েশা আক্তার (২২) নামে প্রায় দু’কুল হারা এক গৃহবধু ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
একদিকে তার স্বামী বলছে, আমি তাকে নিয়ে আর সংসার করতে চাই না অন্যদিকে প্রেমিক বর্তমানে লাপাত্তা !
ওই গৃহবধু উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও বালাপাড়া ইউনিয়নের শোভানগঞ্জ বালাপাড়া গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের কন্যা। মঙ্গলবার বিকালে তিনি ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে পরিবারের লোকেরা তাকে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করান।
ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আয়েশা বুধবার রাতে এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার স্বামী- সন্তান থাকার পর একই ইউনিয়নের মধ্যছাতনাই গ্রামের কাশেম আলী পুত্র ফয়েজ উদ্দিন (২৫)এর সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
আমার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে আমাকে ফয়েজ উদ্দিনের বাড়ীতে গিয়ে উঠতে বলেন, কিন্তু ফয়েজকে বিয়ের কথা বলা মাত্রই সে ফোন কেটে দিয়ে লাপাত্তা। তবে আমি বর্তমানে আমার স্বামীর কাছে যেতে চাই ও ফয়েজের শাস্তি চাই ।
আয়েশার মা আবেদা বেওয়া বলেন, এলাকার লম্পট ফয়েজ উদ্দিনের জন্য আমার মেয়ের সংসারটা ভেঙ্গে গেল। আমার মেয়ে পারছে না সংসার করতে, না পারছে ফয়েজকে বিয়ে করতে! এ কারনে আত্মহত্যার জন্য গুমের ঔষধ খেতে পারে।
আয়েশার স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকের কাজ করতে যাই আর এ সুযোগে আমার স্ত্রী ফয়েজকে ডেকে নিয়ে প্রায় আমার বাড়ীতে রাখে। আমি তাকে নিয়ে আর সংসার করতে চাই না। তার পরিবারকে ডেকে সব বলে দিয়েছি আমি। এ কথা জেনে তারা আমার ৩ বছরের জান্নাতি নামের কন্যাকে আমাকে দেয়নি। আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, আমি কিছুই জানি না গত ৩দিন থেকে সে তার পিত্রালয়ে আছে।
এ বিষয়ে লাপাত্তা প্রেমিক ফয়েজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, আয়েশা আক্তারের সাথে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই, তার তো স্বামী রয়েছে।
জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ২৪ মে ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.