জনতার আলো, মোঃ শাহিনুর রহমান, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আটষট্টি বছর পর ছিটমহল বাসিরা ভোট দিতে পারায় বাড়তি আনন্দ যোগ হয়েছে প্রচার প্রচারনায়। তাই উঠান বৈঠকসহ ভোটারের কাছে শেষ সময়ে ভোট প্রার্থনা করে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন প্রার্থীরা।
সীমানা জটিলতায় ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়ীবাড়ি,গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দীর্ঘ ১৩ বছর পর হওয়ায় আনন্দের ঢেউয়ে ভাষছে ইউনিয়ন গুলো। আর তিনটি ছিটমহল ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হওয়ায় বাড়তি আনন্দ যোগ হয়েছে।তবে আওয়ামী লীগ নৌকা মার্কা,বিএনপির ধানের শীষ ছাড়াও এরশাদের লাঙ্গল মার্কা নিয়ে তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গ্রামে গঞ্জে ছুটে বেড়াচ্ছেন।তবে মাঠে ময়দানে লাঙ্গলের প্রার্থীকে তেমন দেখা যায়নি।
আগামাীকাল ভোট স্থানীয় প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।মোট কেন্দ্র ২৭টি সবকেন্দ্রগুলি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে প্রশাসন।তিন স্তরের নিরাপত্তা ছাড়াও বিজিবি,র্যাব,পুলিশ,আনছার,অতিরিক্ত নির্বার্হী ম্যাজিস্ট্রেট,ভ্রাম্যমান মোবাইল টিম নির্বাচনী এলাকায় আইন শৃংক্ষলা নিয়ন্ত্রনে সার্বক্ষনিক অবস্থান করবে।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন,নির্বাচনে আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে আছে যে কোন ধরনের অপৃতিকর ঘটনা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। ৩টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৪৪ হাজার ৩ শত ৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২২ হাজার ৩৪ জন ও নারী ভোটার ২২ হাজার ৩ শত ১৬ জন ।
খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করবেন ৭ জন, গয়াবাড়ী ইউনিয়নে ৩ জন, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ২ জন,মোট ৩টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা ৩১জন,ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ৮৯ জন প্রতিদ্বন্দি¦তা করবেন।সংরক্ষিত নারী ও সাধারন সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দি¦ প্রার্থীদের চেয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচার- প্রচারনা চোখে পরার মত।
পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম গঞ্জের হাট বাজার গুলো।সীমানা জটিলতার কারনে দীর্ঘদিন যাবত নির্বাচন না হওয়ায় ভোটারা বলেন, অনেক দিন পর নির্বাচন পেয়ে তারা আনন্দিত।
ছিটমহল বাসিরা একটু বেশী আনন্দিত।আর সাধারন ভোটাররা মনে করেন নৌকা ধানের শীষের মধ্যে দ্বি-মূখী লড়াই হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে ।
যেখানে ধানের শীষ নেই সেখানে দ্বি-মূখী লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাথে।ধানের শীষ,বিএনপি প্রার্থী আতিকুজ্জামান বিন্জু বলেন,নির্বাচন যদি সুষ্ঠু,অবাদ, কালো টাকা মুক্ত, নিরপেক্ষ হয় তাহলে ধানের শীষের জয় হবে।
নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফ ইবনে ফয়সাল মুন-বলেন, মাদক মুক্ত,জঙ্গীবাদ বিরোধী,বাল্য বিবাহ মুক্ত করার অঙ্গীকারসহ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন নৌকার প্রাথীরা।
ডিমলা খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের রিটানিং অফিসার রাজিউর রহমান বলেন,নির্বাচনী আচরন বিধি মেনে চলতে প্রার্থীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন আগামীকাল ২১ তারিখ একটি সুষ্ঠ,অবাদ,নিরপেক্ষ একটি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
জনতার আলো/রবিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.