জনতার আলো, রুহুল আমিন ভূঁইয়া রিপোর্টার : তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিতে চলতে নতুন নতুন তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার বিকল্প নেই। আর সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ঢাকার সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করছে।
তারই ধারাবাহিকটায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গবেষণা করার সুযোগ করে দিতে ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সোমবার জাপানের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় হিতোতসুবাসি ইউনিভার্সিটি জাপানের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
“ইনোভেশন ল্যাব এবং একচেঞ্জ প্রোগ্রাম” উপর এই চুক্তির মধ্য দিয়ে সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমণ্ডলী স্কিল ডেভলপমেন্টে জাপানের ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন আইটি ট্রেনিং ও তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণায় সুযোগ পাবে।
পাশাপাশি জাপানের শিক্ষার্থীও বাংলাদেশের কালচার ও বিভিন্ন বিষয়ে স্টাডি করবে এবং প্রতিষ্ঠানটিতে একটি ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হবে।
চুক্তিটিতে স্বাক্ষরিত করেন Mr. Seiichiro Yonekura (Ph.D) প্রফেসর ইন্সটিটিউশন অফ ইনোভেশন রিসার্চ, হিতোতসুবাসি ইউনিভার্সিটি জাপান এবং সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাপানের একটি প্রতিনিধি দল এবং দুই দেশের কোঅরডিনেটর ব্যাকবন লিমিটেড এর সিইও মিঃ মাহিন মতিন। জাপানের হিতোতসুবাসি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর Mr. Seiichiro Yonekura বলেন, বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীরা অনেক প্রতিভা সম্পন্ন।
এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দুই দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইডিয়া ও ইনোভেশন আদান প্রদানের একটি সুযোগ হল। আশাকরি তরুন শিক্ষার্থী এই প্লাটফর্মটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ্ঞান অর্জনের আরও বেশি সুযোগ পাবে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, আজকের এই দিনটি আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বিশেষ গৌরবের দিন। জাপানের হিতোতসুবাসি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর Mr. Seiichiro Yonekura আমাদের অ্যাডভাইসর হিসাবে কাজ করবেন।
জাপানের উদ্যোগে আমাদের প্রতিষ্ঠানে একটি ইনোভেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমণ্ডলীরা জাপানে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা কাজে সুযোগ পাবেন। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতে পারবেন বলে আশা করি।
প্রফেসর Mr. Seiichiro Yonekura আমাদের অ্যাডভাইসর হিসাবে কাজ করবেন। উল্লেখ্য সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজটিতে প্রায় পনের হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ১ একর জমির উপর সুবিশাল ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খল ভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।
লেখাপড়ার পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্কাউটিং, ডিবেটিং, সাইন্স ক্লাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবস বিভিন্নসহ শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছে। ২০১৭ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৮জন স্কাউট বাংলাদেশ স্কাঊটসের সর্বোচ্চ পদক প্রেসিডেন্টস স্কাঊট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
জনতার আলো/শুক্রবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.