জনতার আলো, মহিনুল ইসলাম সুজন, জেলা ব্যুরো চীফ, নীলফামারী : উজানের পাহাড়ি ঢল কমে যাওয়ার কারনে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার বিকেল ৬টায় পানি বিপদসীমার ২৫ সেনিাটমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল ।একইদিনের সকালে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হলেও দুপুরে পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বিকাল ৩টায় ১২ সেন্টিমিটার কমে ১৮ সেন্টিমিটার ও বিকেল ৬টায় বিপদসীমার ২৫সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। উজানের ঢল সামাল দিতে খুলে রাখা হয়েছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট।
নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা ২০টি চর গ্রামে বৃহস্পতিবার হাটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছিল। শুক্রবার দুপুরের পর তা স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে প্রবল ভাঙ্গনের কারনে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনাম নতুন করে ৬টি ও ভেন্ডাবাড়ী মৌজায় আরও ২টি বাড়ী ভাঙ্গনের কারনে অন্যত্র সরিয়ে আনা হয়েছে। গত ২ দিনে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ১৫টি বসতবাড়ী ও পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ৬টি সহ ২১টি বসতবাড়ী বাধের আশ্রয় নিয়েছে।
ঝুনাগাছ চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবারের বন্যায় ছাতুনামার চর,ফরেষ্টের চর, সোনাখুলীর চর ও ভেন্ডাবাড়ি চরে দেড় হাজার পরিবারের বসতবাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছিল। শুক্রবার সকাল থেকে এসব পরিবারের বসতবাড়ী থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে।
শুক্রবার ৮টি পরিবারের বসত ঘর হুমকীর মুখে পড়ায় তাদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। দক্ষিন সোনাখুলী এলাকায় তিস্তা নদীর ডান তীরের প্রধান বাঁধের অদুরে ইউনিয়ন পরিষদের তৈরী করা মাটির বাঁধ হুমকীর মুখে পড়ায় সেখানে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। বাঁধের উপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় দক্ষিন সোনাখুলী কুঠিপাড়া গ্রামের বসত ঘর ও আবাদী জমিগুলো তলিয়ে গেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৬টা হতে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেলে তা ২৫সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জনতার আলো/শনিবার, ০৭ জুলাই ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.