জনতার আলো, এম এ সাজেদুর ইসলাম (সাগর) নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদীতে এখন পানি থাকার কথা। এক সময়ে করতোয়াতে চলতো পালতোলা নৌকা। জেলেরা গাইতো গান।
জাল দিয়ে ধরত মাছ। কৃষকেরা নদী থেকে ডোঙ্গা দিয়ে পানি তুলে জমিতে সেচ দিত। সেদিনে দেখা যেত মাছরাঙ্গা’সহ নানা প্রজাতির বাহারী পাখি। কালের বির্বতনে এসব দৃর্শ্য আর চোখে পড়ে না। নদীর বুক মাটিতে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে ফসলের মাঠ।
আর সেই নদীর বুকে এখন ইরিবোরো ধান চাষ করা হচ্ছে। এছাড়াও কৃষকেরা গম, ভূট্টা ও ডাল চাষ করছে। সেই ইরি বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক পরিবার। কৃষকরা এখন দিনরাঁতে মাঠে ধান ক্ষেতে পানি, সার, কীটনাশক ও নিড়ানী দিতে ব্যস্ত সময় কাঁঠাচ্ছেন।
কৃষি অধিদপ্তর সুত্র জানায়, এ মৌসুমে উপজেলাতে ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১৮হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও অতিরিক্ত আরো ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদীতে জেগে উঠা জমিতে প্রায় ১শ হেক্টর বেশী জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগ আশা করছেন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তবে দিনমজুর সংকট হওয়ায় কৃষকরা পুরোদমে ধানের চারাগাছ’সহ আগাছা পরিস্কার করছে।উপজেলার দাউদপুরের মোঃ বজলুর রশীদ বলেন আমার বাড়ির পার্শে ছিল করতোয়া নদীর ঘাট আর যার নাম ছিল খেয়া ঘাট। উত্তর মুরাদপুর, রঘুনন্দনপুর, মালদহ. সিরাজ, ঈশ্বরপুর, গ্রামের কৃষকগণ জানান, ধান গাছে সময়মত পানি পাওয়ায় এখন গাছ সবুজবর্ন ধারন করেছে।
চারিদিকে যেন সবুজের সমারাহ। যেদিকে তাঁকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, ধান গাছের রোগবালাই দমনে কৃষকদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এছাড়াও কৃষক ধানের বাম্পার ফলনের জন্য ক্ষতিকারক পোকা নিধঁনে আলোক ফাঁদ ও পার্চিং করছে। উপ–সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী হায়দার জানান, এবছরে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
এছাড়াও উপ–সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন মাঠে কৃষকদের নিয়ে কাজ করছেন। উপজেলা মাঠ কর্মকর্তা মোঃ ফাত্তাউজ্জামান জানান, আমরা কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ দিচ্ছি তিনি আরো বলেন বর্তমানে করতোয়া নদীতে পানি না থাকায় ফসল ফলানো হচ্ছে।
তবে নদী সংস্কার’সহ পুনঃখনন করা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়াও মাঠে আমরা কৃষকদের নিয়ে কাজ করছি।
জনতার আলো/বুধবার, ১৮ এপ্রিল ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.