জনতার আলো, এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর), নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর): দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদী ঘেসে প্রত্যন্ত অঞ্চল হচ্ছে ঘোনা বিছনা। উপজেলা থেকে প্রায় ১০-১২ কিঃমিঃ পুর্বদিকে এই গ্রামটি অবস্থিত। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরুলেও সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বি ত এই গ্রামটি।
ভাবতেও অবাক লাগে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন সোনার বাংলায় একটি গ্রাম এখনো অবহেলিত আছে, সেখানে আমরা কি করে মধ্যম আয়ের দেশের আনন্দে আনন্দীত হয়ে র্যালী ও শোভা যাত্রা করি।
ঘোনা বিছনায় সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুর থেকে মনে হয় “ব” দ্বীপেরমত একটি গ্রাম। গ্রামে প্রবেশ করার জন্য কোন রাস্তা নেই, নেই কোন পথচলার ব্যবস্থা। আকা বাকা ফসলী জমির আইল বা মেঠ পথে যেতে হয় গ্রামটিতে। বর্ষা মৌসুমে দেখা যায় গ্রামটির চারিদিকে থই থই পানি আর মাঝ খানে দ্বীপের মত একটি গ্রাম যার নাম ঘোনা বিছনা। যেতে হলে করতোয়ার শাখা নদী পেরুতে হয়। আর সেই করতোয়ার শাখা নদীতেও নেই কোন ব্রিজ বা কালর্ভাট। সরকারী স্থাপনা বলতে একটি মাত্র প্রাইমারী স্কুল রয়েছে। বর্ষা কালে গ্রামটিতে যেতে হলে ব্যবহার করতে হয় নৌকা বা কলা গাছের ভেলা। ঘোনা বিছনা গ্রামে সকল মানুষ মুসলমান কিন্তু সেখানে নেই নামাযের জন্য ভাল একটি মসজিদ, নেই অযু করার কোন ব্যবস্থা।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলার কোন ছোয়ায় লাগেনি গ্রামটিতে। নেই কোন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অন্ধকার আর অর্দাহারে কাটে তাদের জন জীবন। নেই কোন ভাল শিক্ষার ব্যবস্থা প্রাথমিক শিক্ষায় যেন তাদের শেষ শিক্ষা। উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রয়োজন ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা কিন্তু জীবনের সঙ্গে যুদ্দ করে চলতে হয় তাদের।
যেন দেখার কেউ নেই অভিভাবক হীন হয়ে পড়েছে গ্রামটি। কোন এম,পি চেয়ারম্যান কিংবা কোন ইউপি সদস্য খোজ খবর নেননা এই গ্রামটির।
এ ব্যপারে ঐ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা একমাত্র দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জের বানভাসি মানুষ আমাদের কেউ কোন খোজ খবর নেয় না। মনে হয় আমরা বাংলাদেশের মানুষ না যদি বাংলার মানুষ হতাম তাহলে আমাদের কেই না কেউ অবশ্যই খোজ খবর রাখত । আমাদের পথ চলার মত নেই কোন রাস্তা আমাদের ছেলে মেয়েদের ভালো শিক্ষা দিতে পারি না, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যা বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে আসতে পারে না কোন শিক্ষক ফলে ছেলে মেয়েদের পাঠ্যভ্যাসে ব্যঘাত ঘটে।
এ ব্যপারে আরো বলেন, নির্বাচন আসলে জন প্রতিনিধিগণ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন কিন্তু নির্বাচন পেরিয়ে গেলে তাদের প্রতিশ্রুতি ভুলে জান আর আমাদের অবস্থা পূর্বে অবস্থাতেই থেকে যায়।
এব্যপারে উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মোছাঃ পারুল বেগম জানান, আমি ঘোনা বিছনায় গিয়েছিলাম সেখানে একটি রাস্তা এবং ৬০ ফিটের একটি ব্রিজ প্রয়োজন। বর্তমানে উপজেলায় ৬০ ফিটের কোন ব্রিজের বরাদ্দ না থাকায় ব্রিজ দেয়া সম্ভব হয়নি তবে আগামিতে ৬০ ফিটের ব্রিজের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অতি শীর্ঘরই বাস্তবায়ন হবে
জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ২৮ জুন ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.