জনতার আলো, এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর), জেলা ব্যুরো চীফ, দিনাজপুর: পান চাষে মিলে না কৃষি ঋণ এর পরেও কৃষকের স¦উদ্দোগে দিনাজপুরের দক্ষিন এলাকার নবাবগঞ্জ ,বিরামপুর উপজেলায় কৃষি অন্য ফসলের পাশাপাশি মাঠে এখন পান চাষ ব্যাপক ভাবে কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ,দাউদপুর, মাহমুদপুর ও কুশদহ ইউনিয়নে পান চাষ হয়ে থাকে। পরিবেশ অনুকুলে থাকায় পান উৎপাদন ভাল হয়েছে।
এদিকে বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের চৌঘরিয়া, দামদরপুর, রণগাঁর, রামচন্দ্রপুর ও দাউদপুর গ্রামের পান চাষীরা পান চাষে আতœনির্ভরশীল হয়ে উঠছে।
এ এলাকায় বাপ দাদা ও নাতিতে মিলে দীর্ঘদিন ধরেই পান চাষ করে আসছেন বলে পান চাষীদের অভিমত।পান চাষে উচুঁ বেলে দোআঁশ মাটি বেশ উপযোগি।
বাঁশ, ছন, গুনা ও সুতলি পান চাষীদের পান বাগান বা বর্জের কাজে লাগে। বাঁশের সলি ও থিয়ন দিয়ে পিলি বানিয়ে পান চাষ হয়। তবে অন্যান্য ফসলের ছেয়ে পান চাষে বেশী রাসায়নিক সার ও সার্বক্ষনিক পরিচর্জার দরকার হয়।
এ সব এলাকায় প্রায় শতকরা আশিজন কৃষক চান চাষের সাথে সম্পৃক্ত।বিরামপুরের পান এখন রাজধানী ঢাকা শহরসহ দেশের সর্বত্রয় সরবরাহ হচ্ছে। জেলার সব উপজেলা থেকে বিরামপুর উপজেলায় পানচাষ বেশীহয় বলে এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে।রামচন্দ্রপুর গ্রামের পান চাষী মাহালি, অরুনচন্দ্র, আতারুল মেম্বাবার জানান, অনেক আগে থেকেই আমরা পান চাষ করে আসছি। এটা আমাদের পুরুনোপেশা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে পান চাষ আমাদের কাছে বেশ লাভজনক।
চৌঘরিয়া গ্রামের সুলতান মাহমুদ, নাসির উদ্দিন, তকিমুদ্দিন ওরফে ফেলু, দামদরপুরের নুরল ইসলাম, অহেদুল, রণগাঁও এর ওসমান, সাদ্দাম, সরিফুল ও দাউদপুরের মহাসিন মিজানুর কবিরাজসহ আরো অনেকেই জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে পানের ব্যাপক চাহিদা ও বাজার মুল্য ভাল।উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে আগের ছেয়ে পান চাষে উন্নতি হচ্ছে। পান চাষ বেশ লাভজনক পেশা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ফসল হিসেবে তুলনা মুলক খরচ ও কম। তবে পান বাগান পরিচর্যার জন্য সার্বক্ষণিক লেবার লাগাতে হয়। চাষীদের অভিযোগ দেশের সরকারি ব্যাংকে কৃষিঋনের ব্যবস্থা থাকলেও পানচাষের কোন কৃষিঋন তাঁরা পাননা। পান চাষের উপরে প্রশিক্ষণ না থাকায় পানের পচন মড়কসহ নতুন নতুন রোগ সনাক্ত করতে ও প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহন করতে দেরি হওয়ায় ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তর সুত্রে জানা গেছে নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৬.৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির পান চাষ হয়েছে।
বরজের সংখ্যা ৬৫টি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান , সম্ভব্য উৎপাদন ৬৯.৫৫ মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহেবুর রহমান ও ফাত্তাউজ্জামন আহসান হাবিব তারা জানান , পান চাষীর বরজে সার্বক্ষনিক পরামর্শ কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এলাকার পান চাষীরা এই অর্থকারি ফসল পান চাষের জন্য ব্যাংক সুদমুক্ত কৃষিঋনসহ পান চাষীদের পান চাষের উপরে প্রশিক্ষনের জন্য এলাকার সকল পানচাষী ও সর্বস্থরের সচেতনমহল সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দফতরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জনতার আলো/বুধবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৯/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.