জনতার আলো, ছামিউল ইসলাম আরিফ,হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের হিলিতে আবারো বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গতকাল হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে (ট্রাকসেল) প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৪ টাকায়। তিন দিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিতে প্রায় পাঁচ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটি ও ব্যাংক হলিডের কারণে দেশের বাজারে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।
জানা গেছে, দেশে যেসব রুট দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়, তার মধ্যে হিলি স্থলবন্দর অন্যতম। তাই হিলিতে দাম বাড়লে বা কমলে তার প্রভাব দেশের অন্যান্য স্থানের খুচরা বাজারেও পড়ে যায়। সরেজমিনে হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে ভারত থেকে নাসিক, ইন্দোর ও রাজস্থানী জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ প্রকারভেদে পাইকারিতে প্রতি কেজি ২২ থেকে ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার এ বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৭ থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরা দামও বাড়তে শুরু করেছে। এ বাজারে গতকাল ভারত থেকে আমদানিকৃত কিছুটা নিম্নমানের পেঁয়াজ (ছাল ওঠানো) বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকায়। তিনদিন আগে এসব পেঁয়াজ ১৬ থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এ হিসেবে খুচরা বাজারে ও দাম ৭ টাকা বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের সরবরাহ খানিকটা কম থাকায় ভারতের বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। গত শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে হিলিসহ দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের ভালো চাহিদা থাকলেও সে পরিমাণ সরবরাহ না থাকায় দাম বেড়েছে। এদিকে গত শনিবার বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চালু হলেও গতকাল ব্যাংক হলিডের কারণে শুল্ক পরিশোধ করা যায়নি। এ কারণে পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। এতে সামগ্রিক সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম সংশোধন হয়নি।
তারা জানান, শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে আজ থেকে আবার বন্দরে পণ্য খালাস করা যাবে। এতে আগামীতে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এলে দামও কমতে পারে।
জনতার আলো/মঙ্গলবার, ০৩ জুলাই ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.