জনতার আলো, নাটোর জেলা প্রতিনিধি: দুই পরকীয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামী আলিফ (২১) কে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (১৯)। পরে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার তালশো বিলে হত্যাকান্ডের মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় নিহত আলিফের স্ত্রী ও এক প্রেমিক মানিক (২৬) নাটোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. খোরশেদ আলমের কাছে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক সামশুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জবানবন্দী সুত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে উপজেলার আদগ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আলিফের সঙ্গে তালশো গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে হয়। কিছুদিন পর সোনিয়া প্রথমে রোলভা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে রাকিবের সঙ্গে এবং পরে রাকিবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভরতপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মানিকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে গত ১৭ মে সোনিয়া ও মানিক পালিয়ে যায়। ২০ মে সন্ধান পেয়ে অভিভাবকেরা ঢাকা থেকে সোনিয়াকে এনে স্বামীর সঙ্গে মিমাংসা করিয়ে দেন।
কিন্তু সোনিয়া গোপনে আলিফকে হত্যার ছক আঁকে। সে অনুযায়ী পরদিন ২১ মে দিনগত রাত তিনটার দিকে শ্বাবশুরড়িতে সেহরী খাওয়ার পর আলিফ ঘুমাতে চাইলে তাকে আম কুড়ানোর কথা বলে বিলের ধারে নিয়ে যায় এবং মানিক ও রাকিবকে সেখানে আসতে বলে। পরে তিনজন মিলে বিলের মাঝখানে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে সোনিয়া অন্ডকোষ চেপে ধরলে আলিফ অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর সোনিয়া বুকের উপর বসে গলা চিপে আলিফকে হত্যা করে। পরে তারা পাশের পুকুরের পানিতে চুবিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে লাশটি পাড়ে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরদিন মঙ্গলবার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ সোনিয়া ও মানিকসহ সাতজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে সোনিয়া ও মানিক স্বীকারোক্তি দেয়াসহ জড়িত থাকার প্রমাণ না থাকায় অন্যদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। অপর প্রেমিক রাকিব বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
জনতার আলো/রবিবার, ২৭ মে ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.