জনতার আলো, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুটি সংখ্যালঘু আদিবাসী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে।
দশকের পর দশক ধরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে চলে আসা সংঘর্ষ বন্ধ করতে মুখ থুবড়ে পড়া শান্তি প্রক্রিয়া আবার এগিয়ে নিতে মিয়ানামরের ডি ফ্যাক্টো সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চি উদ্যোগ নেওয়ার পর এই চুক্তি হতে যাচ্ছে।
সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের এই সংঘর্ষ দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধের মতো চলে আসছে। এই সংঘাত বন্ধ করা অং সান সু চির কাছে প্রাধান্য পাওয়া ইস্যুগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। কিন্তু ২২ মাস আগে তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত কয়েক বছরের মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির ভয়াবহ সংঘর্ষ হতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি রোহিঙ্গা সংকট প্রকট হওয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্ব পায়নি। দেশটির সেনাবাহিনীর বর্বর দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৮৮ হাজার রোহিঙ্গা। তবে ৫ কোটি জনগণের দেশকে উন্নয়নের সড়কে চালাতে হলে রোহিঙ্গা সংকট ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সু চির জন্য অপরিহার্য বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এক খবরে জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাজধানী নেপিদোতে অং সান সু চি ও সেনাপ্রধান মিন অংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সশস্ত্র দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘নিউ মন স্টেট পার্টি’ ও ‘লাহু ডেমোক্রেটিক পার্টির’ নেতারা। ওই বৈঠকে তারা ‘জাতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি’ স্বাক্ষরে সম্মত হন। তবে কবে নাগাদ চুক্তি স্বাক্ষর হবে, তার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো হয়নি।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স অনলাইন
জনতার আলো/বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.