জনতার আলো, খন্দকার জালাল উদ্দীন, দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটাগুলোতে বন্ধো হচ্ছেনা কয়লার পরিবর্তে কাঠের ব্যবহার। সরকারি ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইন উপেক্ষা করে উপজেলার প্রায়ই ৩২টি ইটভাটায় দেদারছে পুড়ছে কয়লার পরিবর্তে কাঠ।
উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকাধীন বনাঞ্চল থেকে গাছ কিনে অসাধু ভাটা মালিকরা কাঠের ব্যবহার করছে বলে সরেজমিনে ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে। এর ফলে ইটভাটা গুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় দূষিত হয়ে পড়ছে চারপাশের পরিবেশ। এতে একদিকে যেমন উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল অপরদিকে পরিবেশ হচ্ছে রীতিমত দূষিত।
দৌলতপুর উপজেলার মানিকদিয়াড়, রিফায়েতপুর, চকদৌলতপুর, স্বরুপপুর, প্রাগপুর এলাকার ভাটায় ইটের চেয়ে গাছের গুড়ির , যা দিয়ে ঘরের আসবার পত্র বানানো যাবে সেই মাপের গাছের গুড়ি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য উপজেলা সদরে মানিকদিয়াড় এলাকায় একটি গ্রামেই গড়ে উঠেছে ছোট-বড় (০৮)আটটি ইটভাটা। যা উপজেলা পরিষদ থেকে ১ কিলোমিটারেরর ভিতরে অবস্থিত।
এদিকে ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে সেই মাটি দিয়ে তৈরী হচ্ছে ইট। এ বিষয়ে ইটভাটা মালিক সূত্রে জানা যায়, একটি ভাটায় ইট পোড়াতে ১২-১৫ দিন সময় লাগে এ হিসেবে ইটের মৌসুমে প্রায় ১০ দফা ইট পোড়ানো যায়, এক দফায় ইট ভাটায় ইট পোড়াতে ৮-১০ হাজার মন জ্বালানী কাঠের প্রয়োজন হয়।
আর ১০ দফায় ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মণ পর্যন্ত গাছ পোড়ানো হয়। এদিকে ইটভাটাগুলো ফসলী জমি ও বসতি এলাকায় গড়ে উঠায় শিশুদের স্বাস্থ্য হানী ও আশেপাশের জমির উর্বর ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এতে ফসলী জমিগুলোও ধ্বংস হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জানান, ভাটামালিকদের গাছ পোড়ানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। তারা বলেছে, ভাটায় আগুন ধরাতে কিছু কাঠের প্রয়োজন হয়।
তবে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে কোন ভাটার মালিক ভাটায় কাঠের গুড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো অব্যাহত রাখলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তিনি আর জানান, প্রতিটা ইট ভাটার অনুমোদনের জন্য কাগজ পত্র জমা আছে কিন্তু বেশীর ভাগ ভাটা আবাসিক এলাকাতে হওয়াতে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড় পত্র পাচ্ছে না, এই জন্য তারা হাই কোটে একটি করে রিট করে রেখেছে। রিটের কারনে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা।
কিছু দিন পর পর আবার রিটের সময় বৃদ্ধি করে আনছে এই জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ছে। এবং উপজেলার কোন ইট ভাটার ইটের মাপ সঠিক না।
সাংবাদিকরা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চান রিটের বিষয়ে আপনি বলছেন আমারা যতটা জানি বা শুনেছি আপনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় রিটে বিষয়টি দেখে নাই। তিনি জানান, রিট আছে আমি শুনেছি তবে আমাদের হয়তো আই ওয়াস করা হয়েছে তবে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।
জনতার আলো/মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি ২০১৯/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.