জনতার আলো, খন্দকার জালাল উদ্দীন, দৌলতপুর প্রতিনিধি : এসএসসির ফরম পূরণের জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮শ টাকা নির্ধারণ করেছিল শিক্ষা বোর্ডগুলো। এভাবে প্রতিবছরই কম ফি ধার্য করে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। দেশের স্কুলগুলো শিক্ষার্থী অভিভাবকদের কাছে থেকে বিভিন্ন অযুহাতে এর কয়েকগুণ টাকা আদায় করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কোন নোটিশ ছাড়াই কোথাও আদায় করার একটি অংশ ব্যাংকে, অন্য অংশ নগদ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছরই বাড়তি ফি আদায় করছে তা নয়। বছরের পর বছর একই চিত্র। অনিয়ম হলেও বিষয়টি এখন স্বাভাবিক হিসাবে দেখছে স্কুলগুলো।
অভিভাকরা বলছেন, অবস্থাটা এমন যে, নানা ফন্দি, নানা কৌশলে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে যত বেশি টাকা আদায় করা যায়। স্কুল র্কর্তৃপক্ষের পকেট ততটাই ভারি হবে অনৈতিক অর্থে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অনলাইনে ফরম পূরন শুরু হয়েছে ৭ নভেম্বর। শেষ হয়েছে ১৪ নভেম্বর। তবে শিক্ষার্থীরা বিলম্ব ফি দিয়ে ১৬ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত তা পূরণ করতে পারবেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী অসহায় অভিভাবকরা অনেক কষ্টকরে সন্তানের ফরম পুরণ করিয়েছেন।
২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ফরম পূরণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী প্রতি সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৬৮০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী ভেদে ফি একটু কম-বেশি হবে। সব বিভাগের জন্যই বিলম্ব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। আগামী বছরের ফেব্রয়ারির শুরুতেই এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। ইতিমধ্যে স্কুলগুলোর নির্বাচনী পরীক্ষা শেষ হয়েছে। স্কুলের এসব শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমও শেষ হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র ছাত্রী জানান আমারা একাধীকবার স্যারের কাছে গেলেও স্যার আমাদের সাথে খুব খারাপ ব্যাবহার করেছে। এই সারিতে প্রথমে আছে আদাবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ বিষয়ে সরেজমিনে দেখতে গেলে , ডাংমড়কা কে সি ভি এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়,আদাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। নিচ্ছে ছাত্র ছাত্র প্রতি সর্ব নিম্ন ২৫ শত টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা করে । ডি জি টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৫ শত টাকা করে। দরিপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৬ টাকা করে, দৌলতপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় , দৌলতপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ছাত্র ছাত্রী প্রতি ২২ শত টাকা, জয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৩ শত টাকা, বালির দিয়াড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৩ শত টাকা, দৌলতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৫ শত টাকা, করে অর্থ আদায় করছে বলে জানান ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা। এ বিষয়ে আর দেখতে গেলে বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোয়ালগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়,আসিস মাধ্যমিক বিদ্যালয়,পি এস এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়,তারাগুনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ।ছাত্র ছাত্রী প্রতি, বিজ্ঞান বিভাগ ১৮ শত টাকা ও মানবিক বিভাগ প্রতি ১৭ শত টাকা করে ফর্ম পূরণের অর্থ আদায় করছে। কিন্তু বিদ্যালয় থেকে ছাত্র ছাত্রীদের কোন রশিদ দেওয়া হয়নি। এছাড়াও দৌলতপুরের প্রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একই চিত্র। এ বিষয়ে সরজমিনে সাংবাদিকেরা গেলে দেখাযাই ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হলেও তাদেরকে কোন রোশিদ দেওয়া হয়নি কেন শিক্ষদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান রশিদ বই পরে দেবো।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাজমুল হক জানান এস এস সি পরিক্ষার ফরম পূরনের জন্য মানবিক শাখার ১৬,৮০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখার ১৮,০০ টাকার উপরে নিলে সেটা আইনের বাইয়রে হবে কিন্তু কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা আদায় করে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবেএ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, বোর্ড নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোন ফি কোন অজুহাতে আদায় করা যাবে না প্রমান পেলে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনতার আলো/বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.