জনতার আলো, জেলা প্রতিনিধি, নাটোর: ধর্ষক নিজেই থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করে, মেয়েটি তাকে হয়রানির চেষ্টা করছে। এতে মেয়েটি অশ্লীল ভিডিওসহ সকল তথ্য প্রমাণ পুলিশের কাছে উপস্থাপন করলে পুলিশ নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে নাটোরের আল-সান হাসপাতালের মালিক ও পরিচালক শফিউল আলম বাবলুকে আটক করে।
শনিবার রাতে তাকে অশ্লীল ভিডিওসহ আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় নির্যাতিতার পরিবার।
নির্যাতিতার পরিবার জানায়, দুলাভাইয়ের বাড়িতে থেকে শহরের বড়হরিশপুর এলাকায় বেসরকারি আল সান হাসপাতালে নার্সের চাকরি করতেন ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি। সম্প্রতি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পরিচালক বাবলু তার নিজস্ব চেম্বারে ওই মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের পর ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। পরে ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে একাধিকবার মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে বাবলু। মান-সম্মানের ভয়ে মেয়েটি এবং তার পরিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে চুপচাপ থেকে যায়।
এরপর আবারো বাবলু মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে রাজি হয় না মেয়েটি। একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।
নির্যাতিতা নার্সের ভাই জানান, মান সম্মানের ভয়ে আমরা কাউকে কিছু বলিনি। অশ্লীল ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে দিনের পর দিন আমার বোনকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিনি আরো বলেন, মামলা না করার জন্য মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারপরও উপযুক্ত বিচারের জন্য আমরা মামলা দায়ের করব।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে আল সান হাসপাতালের মালিক ও পরিচালক শফিউল আলম বাবলুকে আটক করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে আমরা কিছু আলমত পেয়েছি, সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে। তবে থানায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
জনতার আলো/রবিবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.