জনতার আলো, মাহবুবুজ্জামান সেতু, জেলা ব্যুরো চীফ, নওগাঁ : নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর ১ নং ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ড কপালিড় মোড়ে শোভাপুর নামক স্থানে ২০১৩ সালে ব্যাক্তি উদ্যোগে নিজ পৈত্রিক সম্পত্তিতে গড়ে উঠে পিতার নামে দেওয়া মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শাহজাহান আলী জানান আমাদের পিতা একজন শিক্ষা অনুরাগী ছিলেন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে ছিলেন তাই আমরা পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পিতার নামে বিদ্যালয়টি স্থাপন করি।
নিতপুরে প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রীরা প্রায় হত দরিদ্র। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মওদুদ আহম্মেদ জানান ১১ জন শিক্ষক এবং ৬ জন কর্মচারীদের নিয়ে প্রথমে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাচ্চাদের এবং তার পরিবারদের সাথে কথা বলতে হয়েছে অনেকেই বলতেই চাননি যে তাদের সন্তান প্রতিবন্ধী আছে। প্রতিবন্ধী সন্তানদের ঘরের ভিতরে রেখে চিকিৎসা করা হত বাইরে প্রকাশ করতনা । ১৭ জন স্টাফদের নিয়ে বিনা বেতনে কাজ করে চলেছি।
উপজেলা প্রসাশন এবং সংসদ সদস্য নওগাঁ ৪৬-১ বাবু সাধন চন্দ্র মুজুমদারের সু- নজরে কিছুটা সহযোগীতা পেয়ে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ঠিক করা হয়েছে এবং এলাকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ের বাকিঁ কাজ গুলো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মাননীয় সংসদ সদস্য।
ব্যতিক্রমী এই বিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত কোন না কোন খরচ আছে। কেননা এখানে প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রী হওয়ায় ক্লাশ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাদের সেবা দিতে হয়।
এতে করে যতœ নেওয়ার সব সামগ্রী লাগে। মরহুম মোবারক হোসেনের আরেক ছেলে মোঃ মাহাবুর রহমান (আনন্দ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে চাকুরী করেন পিতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই অনেক সময় টিফিনের খাওয়া সহ এই সব খরচ গুলো বহন করে থাকেন।
বিদ্যালয়ের আরো অনেক কিছু প্রয়োজন যেমন- চিকিৎসা ব্যাবস্থা, বিনোদন, থেরাপি,বিদ্যালয়ে আসার জন্য যোগাযোগ ব্যাবস্থা আরো উন্নয়ন করতে হবে।
এলাকাবাসি জানান এই রকম মানব সেবামূলক কাজ দেখে আমরা অত্যান্ত খুশি এবং সাধুবাদ জানাই তাদের। শিক্ষক শিক্ষারা জানান আমরা ৫ বছর ধরে অনেক কষ্ট করে এই প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার পারিশ্রমিক ছাড়াই সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের বিশ্বাস একদিন সরকারি সব সুবিধা দিবে সরকার। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের প্রতি সু-নজর রয়েছে এবং কিছু প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সরকারি করন করেছেন।
আমরা আশাবাদী একদিন আমাদের এই বিদ্যালয়টিও সরকারি হবে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ২৫০ জন প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রীদের বড় পরিচয় হয়ে দাড়িয়ে আছে মোবারক হোসেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়। অনেক সুনাম অর্জন করেছে এই বিদ্যালয়টি।
জনতার আলো/বুধবার, ২৫ জুলাই ২০১৮/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.