নওগাঁর মান্দায় ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ১


জনতার আলো প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২২, ২০২৪, ১:৫৩ অপরাহ্ন /
নওগাঁর মান্দায় ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ১

জনতার আলো, মাহবুবুজ্জামান সেতু, জেলা ব্যুরো চীফ, নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় কুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। দীর্ঘ ৬ মাস ১০ দিন পর আসামি সোনাবর মৃধাকে (৪৫) গ্রেপ্তারের পর এ রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন মান্দা থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত সোনাবর মৃধা মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের চকশ্রীকৃষ্ণ গ্রামের মৃত অফির উদ্দিন মৃধার ছেলে। নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টিপু মুন্সীর আদালতে এ হত্যাকান্ডের দায় শিকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

হত্যাকান্ডের শিকার মলিনা বিবি (৫০) উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের মৈনম (জাগিরের ব্যাড়) গ্রামের জিয়ার উদ্দিনের মেয়ে। স্বামী পরিত্যক্তা এই নারী সতিহাটে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসসহ বাজারের একটি তুলার মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। পাশাপাশি অন্যের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।

আসামি সোনাবর মৃধা তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, মলিনা বিবির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করার জন্য গত বছরের ৬ জুলাই মলিনা বিবিকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় গ্রেপ্তার সোনাবর মৃধা। এরপর সারাদিন তারা দুজন বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। ওইদিন সন্ধ্যার পর সোনাবরকে বিয়ের জন্য চাপ দেন মলিনা বিবি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। পরে বিয়ের কথা বলে ভালাইন ইউনিয়নের আয়াপুর পাগলিতলা মন্ডপের কাছে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মলিনা বিবিকে। মৃত্যু নিশ্চিত করে তার মরদেহ পাগলিতলা মন্ডপের পাশে একটি ঘাসখেতে ফেলে আত্মগোপন করে সোনাবর মৃধা।

এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, মলিনা বিবির মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে কুলেস এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে তৎপর ছিল পুলিশ। কিন্তু আসামি সোনাবর মৃধা বারবার স্থান পরিবর্তন করায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এসআই মোমিন সঙ্গীয় ফোর্স ফরিদপুর জেলা কোতয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সোনাবর মৃধা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ জুলাই নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের আয়াপুর পাগলিতলা মন্ডপের পাশের একটি ঘাসখেত থেকে মলিনা বিবির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মলিনার ছেলে আব্দুল মজিদ বাদি হয়ে মান্দা থানায় একটি মামলা করেন।

জনতার আলো/সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪/দানেজ