জনতার আলো, মাহবুবুজ্জামান সেতু, জেলা ব্যুরো চীফ, নওগাঁ : অতি জনপ্রিয় লোক সংস্কৃতি মাদারের গান আজ বিলুপ্তির পথে। আজ থেকে প্রায় এক যুগ আগেও এর বেশ প্রচলন দেখা গেছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এ উপজেলার অধিকাংশ পাড়া-মহল্লায় সন্ধ্যা থেকে বাড়ির উঠানের খোলা আকাশের নিচে রাত ভর জমজমাট ভাবে উদযাপিত হতো এই মাদারের গানের আসর। গ্রামের ছোট, বড় সকল বয়সী নারী-পুরুষ হাজারো উৎসুক জনতারা সকলে মিলে শপ, পাটি ও খরকুটো পেতে এই মাদারের গান উপভোগ করতো।
মাদারের গান উপলক্ষে অত্র এলাকায় বিরাজ করতো উৎসব মুখর পরিবেশ। আর এই মাদারের গানকে কেন্দ্র করে বসতো হরেক রকমের খাবারের দোকান। আজ তা শুধু গল্পের মত শোনা যায়। কিন্তু হঠাৎ করে নওগাঁর মান্দা উপজেলার কয়াপাড়া গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে রাজুর বাড়িতে গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী চলে এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাদারের গানের আসর।
আর এই ঐতিহ্যবাহী গান শোনার জন্য ছোট,বড় সকল বয়সী হাজারো উৎসুক জনতা ভীরজমায়। বিভিন্ন অ ল থেকে শিল্পীরা এই আসরে গান পরিবেশন করতে আসে।
এব্যাপারে উৎসুক জনতা ভুট্টু,মিন্টু, নুসরাত জাহান নাইজিত সহ আরো অনেকে জানায়, এই জনপ্রিয় গানের আসরের কথা অনেক শুনেছি হঠাৎ এতোদিন পরে গ্রাম বাংলার এই আসরে উপস্থিত হতে পেরে ভিশন ভালো লাগছে। এই ধরনের উৎসব গ্রামে আরো হলে এলাকার মানুষের জীবনে নতুন করে আনন্দ ও গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে আগামী প্রজন্মের ধারনা যোগাবে। যার মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক থেকে বিরত থাকবে।
এব্যাপারে মেহেদী হাসান রাজু জানান, মাদারের গান আমি আগে অনেক শুনেছি, অনেক দিন থেকেই এই গানের আসরের আমার বাড়িতে দেওয়ার ইচ্ছা কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারনে এই উৎসব টা আমি করতে পারছিলাম না। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে নিজ স্ত্রী কমলার জন্য মান্নত করার কারণে রাজশাহীর বাগমারা থেকে মাদার গানের শিল্পী শাহীনের দল ভাড়া করে ছোট পরিসরে হলেও এই গানের আয়োজন করতে পেরে এবং এতো লোকজনের উপস্থিতি হওয়ায় আমার ভিশন ভালো লাগছে।
জনতার আলো/শুক্রবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৯/শাহানা
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.