জনতার আলো, এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর), জেলা ব্যুরো চীফ, দিনাজপুর: কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষন আর কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এ বছরে বেগুন চাষ আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উপজেলার গোলাপগঞ্জ, বিনোদনগর, দাউদপুর, জয়পুর, কুশদহ চারটি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষীরা মৌসুম ভিত্তিক দেশি প্রজাতির ও উচ্চ ফলনশীল জাতের বেগুন চাষ করে পারিবারিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছে।
ওই চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে গেলে চোখে পড়ে বেগুন চাষ। স্থানীয় বামনগড় গ্রামের ৫ বিঘা বেগুন চাষী খিতিশ চন্দ্র রায় জানান, উৎপাদিত বেগুনগুলো খেতে খুব মজাদার। দর প্রতি কেজি ১১ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে স্থানীয় আফতাবগঞ্জ , নবাবগঞ্জ, দাউদপুর বাজারে বিক্রি করে থাকে।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আফতাবগঞ্জ বাজার থেকে তাদের উৎপাদন করা বেগুন গুলো পাইকারি দরে কুড়িগ্রাম, রংপুর , দিনাজপুর,বগুড়া সহ খোদ রাজধানীর বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তারা।
দাউদপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. ফাত্তাউজ্জামান জানান, কৃষকদের বেগুন উৎপাদনে সার্বিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, কুশদহ ইউনিয়নে বেগুন চাষ ভালো হওয়ায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জয়পুর ইউনিয়নে গ্রামে ক্রয় সেন্টার রয়েছে।
সেখানে কৃষকেরা জমি থেকে তাদের উৎপাদিত বেগুন বাড়ি সংলগ্ন ক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসলেই বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারেরা এসে ক্রয় করে নিয়ে যান। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন হাট বাজারেও বিক্রি করে থাকেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত মোছা. পারুল বেগম জানান, বেগুন চাষ করে উপজেলার অনেক নি¤œ আয়ের পরিবারের মানুষ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে।
জনতার আলো/বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.