জনতার আলো, এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর), জেলা ব্যুরো চীফ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজে বাঁধা ও অর্থ দাবী করায় ওই বিদ্যালয়ের এস এম সির সভাপতি মোঃ শহীদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক শেলী আক্তার।
তিনি জানান চলতি অর্থ বছরে স্কুল সংস্কারে পিডিপি-৩ প্রকল্পের অধীনে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ পান। এর পর স্টিমেট অনুযায়ী সকল সদস্যদের পরামর্শক্রমে বিধি অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেন। প্রকল্পের অর্থ থেকে উপরি অর্থ দাবী করেন স্কুলের সভাপতি। তার দাবীর টাকা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন তিনি।
এলাকার অভিভাবকেরা জানান শেলী আক্তার পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে কোমলমতী শিশুদের চিত্র বিনোদনের জন্য স্লিপার ,দোলনা , স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে পিইডিপি-৩ প্রকল্পের বরাদ্ধের টাকা দিয়ে বারান্দায় গ্রিল ও দরজা বানানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত সরকারি অর্থ তিনি ভাউচারের বিপরীতে শতভাগ কাজ করেও বরাদ্ধের টাকা পাননি। গ্রামের স্কুল হওয়ায় বারন্দায় গ্রিল না থাকায় গরু ছাগল বিদ্যালয়ের বারান্দায় এসে পরিবেশ নোংরা করে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শেলী আক্তার জানান তার বিদ্যালয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শন করে শিক্ষার মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরো জনান ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছেন ।
একটি মহল তার প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তী নষ্ট করার জন্য অপতৎপরাতা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে এসএমসির সভাপতি মোঃ শহীদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান প্রধান শিক্ষক স্টিমেট অনুযায়ী কাজ করেননি । তার কাছ থেকে উপরি টাকাও চাইনি। উন্নয়নমূলক কজে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রেজাউল করিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ মান সম্মত। উন্নয়নমূলক কাজও ভাল হয়েছে।
এ ব্যপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান কাজ পরিদর্শন করে মান সম্মত হলে বরাদ্ধের অর্থ ছাড় দেওয়া হবে।
জনতার আলো/রবিবার, ২৯ জুলাই ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.