জনতার আলো, মোঃ জুলহাজুল কবীর, নবাবগঞ্জ দিনাজপুর : অবশেষে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ০৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহিম বাদশার কক্ষ থেকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে স্থাপন করা এসি খুলে ফেললেন ডিডিএলজি। প্রমাণ হলো ইউপি চেয়ারম্যান নয় ডিডিএলজিই বড়। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর সম্পূর্ন অবৈধ এবং উধ্যর্তপূর্ণভাবে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি পার্শ্বে সরিয়ে মাথার উপর এসি লাগিয়েছিলেন। বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিডিএলজি) মো. ইমতিয়াজ হোসেন গত কয়েকমাস ধরে একাধিকবার এসি খুলতে আদেশ করেন। কিন্তু অদ্যাবধি চেয়ারম্যান রহিম বাদশা সেই এসি খোলেননি। তাই প্রশাসনসহ জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিলো কে বড়? ডিডিএলজি না ইউপি চেয়ারম্যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন যুবলীগ নেতা এবং একজন ইউপি সদস্য অভিযোগ করে বলেন, রহিম বাদশা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তার কক্ষে এসি লাগান। মাথার উপর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিলো। রহিম বাদশা সেই ছবি এক পার্শ্বে দিয়ে এসিকে মাথার উপর বসিয়েছেন। আর সেই সেই এসির বিল দেওয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। আর ইউনিয়ন পরিষদের ব্যয়ের টাকা আসে জনগনের ট্যাক্সের টাকায়। তাই এ নিয়ে অনেকেই আপত্তি করেলেও চেয়ারম্যান তা আমলে নেননি। উল্টো চেয়ারম্যানের বিরাগভাজন হয়েছেন। এ বিষয়ে মৌখিক ভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিয়েও কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নায়েব আলী জানান, কিছুদিন আগে চেয়ারম্যানের ইন্ধনে গাছ কাটার পর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্তে ঘটনার সত্যতাও পায়। তারপরও অজ্ঞাতকারনে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। চেয়ারম্যান রহিম বাদশা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আদিবাসী পাড়ার ধারে এবং বনের সন্নিকটে অবৈধভাবে ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে বনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ওই ইটভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বিষয়ে তিনি ডিসি, ডিডিএলজি এবং ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এসব নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়। গত কয়েকদিন আগে ডিডিএলজি ইমতিয়াজ হোসেন ওই ইউনিয়ন পরিষদে পরিদর্শনের খবর পেয়ে এসি খুলে ফেলেন রহিম বাদশা। সাবেক চেয়ারম্যান ডিডিএলজিসহ ইউএনওকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এসির জন্য জনগনের টাকায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে তা দ্রুত আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হোক। ছবির ক্যাপশন- মাথার উপর থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে অবৈধভাবে মাথার উপর এসি লাগিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বসে আছেন চেয়ারম্যান রহিম বাদশা।
জনতার আলো/শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৮/শোভন
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.