জনতার আলো, এম এ সাজেদুল ইসলাম (সাগর), জেলা ব্যুরো চীফ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার সামাজিক বন বিভাগ মধ্যপাড়া ফরেস্ট রেঞ্জের সদর বিটের অধিনে বন বিভাগের ৬.৯৬ হেক্টর জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে এলাকার একটি ভূমি দস্য মহল।
জমি পর্ণ উদ্ধার করে নতুন করে বনায়ন সৃষ্টির জন্য নবাবগঞ্জ থানায় ১৮ জন ভূমি দস্য ও ভুমি দলকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
এ ব্যপারে মধ্যপাড়া সদর বিট কর্মকর্তা আশেক আলী জানান,দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার গিলাঝুকি মৌজায় জেএল নং ১৭ দাগ নং ৫২৩,৮৬০,৮৬১,৮৬২,৮৫৯,৮৫৮,৮৫৭,৮৫৬,৮৫৫,৮৫৪ যথাক্রমে বনভুমির পরিমান ২.৫০+৪.০০+১.০০+৩.০০+১.০০+২.৫৮+১.০০+০.৯০+৩.০০= ১৯.৯৮ একর= ৮.৮০ হেক্টর এর মধ্যে ৬.৯৬ হেক্টর যাহার গেজেট নটিফিকেশন নং-ঢওও/ভড়ৎ-১৩-১৯/৮৪(ঢ়-১)/১২০, উধঃব: ১৯.০২.১৯৮৫ উল্লেখিত তফশিল বর্নিত জমি দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগ দখল নিয়ন্ত্রন সেই সঙ্গে সরকারি উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।
মধ্যপাড়া রেঞ্জের সদর বিটের আওতায় ২০০১ এবং ২০০২ আর্থিক সালে ৬.৯৬ হেক্টর কৃষি বাগান সৃজন করা হয় । বাাগানের গাছ বিধি অনুযায়ী নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।
বন বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী কতিত বাগান এলাকায় পুনরায় বাগান সৃজন করতে গেলে গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ সকাল আনুমানিক ১০ টায় ওই স্থানে গেলে গোলজার হোসেন (৫৫), ওমর ফারুক (৩০), মাছুদ রানা (২৭), আমিরুল ইসলাম (৫৫), হবিবর রহমান (৫৭), মতিয়ার রহমান (৪৫), নুর ইসলাম (৫৯), আব্দুল মোন্নাফ, ভোলা পাইকার (৫৫), শামসুল আলম (৩৯), মনজুরুল (৪২), রমজান আলী (৩৫), ওয়াজেদ আলী (২৬), লালু মিয়া (৩০) সর্বসাং মধ্যপাড়া বন্দরপাড়া, হবিবর রহমান (৫২), হেপি (৪৫), মধ্যপাড়া আকন্দপাড়া, মনোয়ার হোসেন (২৬), মধ্যপাড়া শুকুরডাংগা, উপজেলা পার্বতীপুর, দিনাজপুর সহ অজ্ঞাতনামা ১৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে প্রাননাশের হুমকি দেয়। আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশংকায় বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি জানানো হযেছে।
মধ্যপাড়া ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা রনজিবুল আমিন জানান, আঠারো জনকে অভিযুক্ত করে নবাবগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গিলাঝুকি গ্রামের ফরেষ্ট এর আওতাভুক্ত প্রায় ১৭ একর জমি ভূমি দস্যুরা জোর পূর্বক দখল করে ধান চাষ করেছে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য আফতাবগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রে প্রেরন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অবৈধ দখলকারীদের আইনের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে বনের জমি উদ্ধার পুর্বক নতুন বনায়ন সৃষ্টি করা হবে। দখলকারীরা যত বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান।
জনতার আলো/শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮/দানেজ
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.